পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ডেপুটি রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান টমাস এক নারী কর্মকর্তাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ধরনের একটি ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অভিযোগটি তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসু তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে নিশ্চিত করেছেন।
তদন্ত কমিটিতে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এস.এম. তাওহিদুল ইসলামকে আহ্বায়ক, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কুমার দেবাশীষ দত্তকে সদস্য সচিব এবং বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. খাদিজা খাতুনকে সদস্য করা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, গত ২৭ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্থাপন শাখার ডেপুটি-রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান টমাস বিশ্ববিদ্যালয়ের জুনিয়র নারী কর্মকর্তাকে প্রমোশনসহ নানা সুযোগ- সুবিধা পাইয়ে দেয়ার লোভ দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দেন। নারী কর্মকর্তা তার কুপ্রস্তাবে অসম্মতি জানান। ফাঁস হওয়া ১৪ মিনিট ৩১ সেকেন্ডের ফোনালাপটি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড এস এম তাওহিদুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এ বিষয়ে একটি চিঠি পেয়েছি। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা ইতোমধ্যে মিটিং করেছি।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান টমাস অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে একটা অপশক্তি এটা প্রচার করেছে। এটা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। যারা এই অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্ন ফাঁস ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত।