নাটোরের বড়াইগ্রামে আল-আমিন (২৬) নামে এক কলেজছাত্র প্রায় একমাস আগে নিখোঁজ হয়েছেন। এ ঘটানয় থানায় জিডি এবং পরিচিত স্থানে খোঁজ করে তার কোনো সন্ধান পায়নি তার পরিবার। পরে তার সন্ধান চেয়ে শনিবার সংবাদ সম্মেলন করেছে পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তেব্যে আল-আমিনের স্ত্রী কানিজ সুর্বনা বলেন, গত ৪ জুলাই বিকেলে বাড়ি থেকে টিউশনির জন্য বের হন আল আমিন। এরপর আর ফিরে আসেননি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তাকে সম্ভব্য সব জায়গায় খোঁজ করে না পেয়ে গত ৬ জুলাই থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশের পরামর্শে ১২ তারিখে জিডি করেন। কিন্তু তার কোনো সন্ধান পাচ্ছি না। তিনি কোনো সংস্থার কাছে আটক বা বেঁচে আছেন নাকি মরে গেছে কিছুই জানতে পারছি না।
তিনি বলেন, আল-আমিন নাটোর এনএস কলেজ থেকে এবার রসায়ন বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েছে। লিখিত পরীক্ষা শেষ হলেও ব্যবহারিক পরীক্ষা বাঁকি আছে। পড়ালেখার পাশাপাশি টিউশনি করে সংসার চালাতেন। একমাত্র ছেলে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। ছেলে বারবার বাবাকে দেখতে চাচ্ছে। আমি এই অবুঝ শিশুকে কীভাবে বোঝাবো তার বাবার খোঁজ নেই।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আল-আমিনের ছেলে আব্দুল্লাহ (৩), মা মেহেরুন বেগম, ভাই আমির হামজা ও মামা শ্বশুর সবুজ আলী।
আল-আমিন হোসের মা মেহেরুন বেগম বলেন, আল-আমিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন। কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্তা ছিলেন না। টিউশনি করে পড়ালেখা করতেন। হঠাৎ করে একজন মানুষ এভাবে নিখোঁজ হয়ে যান। আগে কখনো কল্পনাও করিনি।
বড় ভাই আমির হামজা বলেন, পুলিশ, র্যাব এর কাছে বারবার ধরনা দিয়ে কোনো লাভ হচ্ছে না। আমার ভাই জীবিত নাকি মৃত আমরা জানতেও পারছি না।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সরল মরমু বলেন, নিখোঁজ আল আমিনের খোঁজে কাজ চলছে। ইন্টারনেট জটিলতায় কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।