দৈনিক শিক্ষাডটকম, শেরপুর : নিজের ৫০ শতক জমি দিয়ে স্কুল প্রতিষ্ঠা করে প্রায় এক যুগ বিনা বেতনে চাকরি করে অবশেষে চাকরি হারালেন সেই শিক্ষক। ভুক্তভোগী শিক্ষকের নাম শাহাদাত হোসেন।
ওই শিক্ষককে স্কুল থেকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী এক শিক্ষকসহ এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার ;শেরপুরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
তবে, শিক্ষকের সনদ জালা হওয়ার তাকে চাকরিতে রাখা যায়নি বলে দাবি বর্তমান প্রতিষ্ঠান প্রধানের।
মানববন্ধনে বক্তারা স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নাসরিন জাহানের খামখেয়ালিপনা এবং দাবিকৃত ১০ লাখ টাকা না দেয়ায় এই কাজ করেছেন বলে অভিযোগ করেন। তবে প্রধান শিক্ষিকা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষক বলেন, স্কুলের জমিদাতা হিসেবে ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে অস্থায়ী সহকারী শিক্ষক হিসেবে জঙ্গলদী উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ পাই। ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে ওই স্কুলটি এমপিও হয় এবং আমাকে বাদ দিয়ে সব শিক্ষক এবং কর্মচারীদের বেতনভুক্ত করা হয়। আমি আদালতের শরণাপন্ন হই। পরে ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ১১ নভেম্বর আদালত আমাকে চাকরিতে বহাল এবং বেতন এমপিও করার জন্য নির্দেশনা দেন। প্রধান শিক্ষিক চাকরিতে পুনরায় নেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত আমাকে চাকরিতে যোগদান করাননি।
সহকারী শিক্ষক আব্দুস সুবাহান বলেন, শাহাদাত হোসেন আমাদের সঙ্গেই বিনা বেতনে চাকরি করেছেন। এমনকি স্কুলের জন্য জমিও দান করেছেন। শাহাদাতের পক্ষে উচ্চ আদালতের ডিগ্রি রয়েছে। কিন্তু তার পরেও তাকে চাকরিতে বহাল না করে উল্টো তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে আসছে প্রধান শিক্ষিকা নাসরিন জাহান।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষিকা নাসরিন জাহান সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে শাহাদাত হোসেনকে নিয়োগ দেয়া হয় এটা সত্য। কিন্তু তার সার্টিফিকেটে সমস্যা থাকায় তার বেতন এমপিও করা সম্ভব হয়নি। ১০ লাখ টাকা ঘুষ এবং আদালতের রায়ের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি সেটি এড়িয়ে যান।
এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার মো. রেজুয়ান বলেন, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষক ময়মনসিংহ বিভাগীয় ডিডিকে লিখিত দিয়েছেন বলে শুনেছি। তিনি এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।