নিবন্ধন-স্বীকৃতি ছাড়া কিন্ডারগার্টেন-বেসরকারি স্কুল চলবে না - দৈনিকশিক্ষা

নিবন্ধন-স্বীকৃতি ছাড়া কিন্ডারগার্টেন-বেসরকারি স্কুল চলবে না

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

দেশের খুদে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৩৯টি। যার মধ্যে সরকারি ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। বাকিগুলো কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারি বিদ্যালয়। কিন্তু বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোর বেশিরভাগেরই নিবন্ধন নেই। নিজেদের ইচ্ছেমতো তারা চলছে। আগে একটি বিধিমালা থাকলেও সেটি বাস্তবে কাজে দেয়নি। এখন সে বিধিমালাকে আরো যুগোপযোগী করে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এর মাধ্যমে বেসরকারি বিদ্যালয় চালাতে হলে নির্ধারিত শর্ত মেনে নিবন্ধন ও একাডেমিক স্বীকৃতি লাগবে। তা ছাড়া চালানো যাবে না।  শিক্ষাবিষয়ক স্বীকৃতি দেবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং নিবন্ধন দেবে প্রাথমিকের বিভাগীয় উপপরিচালক।

সাক্ষরতা দিবস নিয়ে বিভিন্ন তথ্য জানাতে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে বিধিমালাটি আইন মন্ত্রণালয় থেকে আইনি যাচাই বাছাই (ভেটিং) করে তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এখন খুব শিগগিরই এটি জারি করা হবে।

সচিব বলেন, ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে বিধিমালা থাকা সত্ত্বেও প্রায় ৯০ ভাগ বেসরকারি বিদ্যালয় নিবন্ধন ও একাডেমিক স্বীকৃতি ছাড়াই এখনো চলছে। এখন সংশোধিত বিধিমালা জারি করা হবে। এর ফলে বেসরকারি পর্যায়ের ইংরেজি মাধ্যম বাদে বাকি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো (কিন্ডারগার্টেনসহ) নিয়মনীতির আওতায় আসবে। নিবন্ধন ও একাডেমিক স্বীকৃতি ছাড়া এগুলো চলবে না।

ফরিদ আহাম্মদ বলেন, একাডেমিক স্বীকৃতির জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ৩০ দিনের মধ্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে প্রতিবেদন দেবেন। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে একাডেমিক স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত দেবেন। আর নিবন্ধনের জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে বিভাগীয় উপপরিচালকের কাছে প্রতিবেদন দেবেন। বিভাগীয় উপপরিচালক নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত দেবেন। এ জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরেও আসতে হবে না। তবে বিভাগীয় উপপরিচালকের সিদ্ধান্তে সংক্ষুব্ধ হলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে আপিল করা হবে। নিবন্ধন ফি ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের বিধিমালা অনুযায়ীই রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বিধিমালা অনুযায়ী নির্দিষ্ট কিছু শর্ত মেনে নিবন্ধন ও একাডেমিক স্বীকৃতি দেয়া হবে বলে জানান সচিব। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে একাডেমিক স্বীকৃতি তিন বছরের জন্য এবং নিবন্ধন এক বছরের জন্য দেয়া হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যদি শর্ত পুরণ করে তাহলে তা ধারাবাহিকভাবে চলবে। না হলে বাতিল করা হবে।

সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) বইগুলো বাধ্যতামূলকভাবে পড়াতে হবে। এর বাইরেও বই পড়ানো যাবে। তবে যদি কোনো বই পড়াতে চায় তাহলে সেটি সরকারকে জানাতে হবে। তাতে সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। তবে বেসরকারি হওয়ায় কত টাকা বেতন (টিউশন ফি) নেয়া হবে সেটি সরকার নির্ধারণ করে দেবে না। কিন্তু কত টাকা নেয়া হচ্ছে তা নির্ধারিত ফরমে সরকারকে জানাতে হবে। তখন সরকার বিবেচনা করবে সেটি যৌক্তিক না অযৌক্তিক।

এক প্রশ্নের জবাবে সচিব জানান বর্তমান চালু বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোকেও নিবন্ধন নিতে হবে। সবাইকেই নিবন্ধন নিতে হবে। যেসব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক স্তরে পড়ানো হয় সেগুলোরও প্রাথমিক স্তরের নিবন্ধন ও একাডেমিক স্বীকৃতি নিতে হবে। বিধিমালা জারির পর তিন মাসের সবাইকে নিবন্ধন ও একাডেমিক স্বীকৃতির জন্য আবেদন করতে বলা হবে।

ফরিদ আহাম্মদ বলেন, 'আমরা চাচ্ছি কোনো বিদ্যালয় যেন একাডেমিক স্বীকৃতি ও নিবন্ধন ছাড়া পরিচালিত না হয়। এটি হলে আমরা জানতে পারবো কতগুলো বিদ্যালয় চলছে, সেখানে ন্যুনতম অবকাঠামো, শিক্ষক, তহবিল, পরিচালনা কমিটি আছে কি না। আমরা চাইব ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ‌১ জানুয়ারির পর থেকে যেন একাডেমিক স্বীকৃতি বিহীন ও নিবন্ধনবিহীন কোনো বেসরকারি বিদ্যালয় না চলে।'

সংবাদ সম্মেলনে সাক্ষরতা দিবসের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।

যেসব চাকরির পরীক্ষা স্থগিত - dainik shiksha যেসব চাকরির পরীক্ষা স্থগিত কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসছে সরকার - dainik shiksha কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসছে সরকার উত্তরায় গুলিতে ২ শিক্ষার্থী নিহত - dainik shiksha উত্তরায় গুলিতে ২ শিক্ষার্থী নিহত ছাত্রলীগ আক্রমণ করেনি, গণমাধ্যমে ভুল শিরোনাম হয়েছে - dainik shiksha ছাত্রলীগ আক্রমণ করেনি, গণমাধ্যমে ভুল শিরোনাম হয়েছে সহিংসতার দায় নেবে না বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন - dainik shiksha সহিংসতার দায় নেবে না বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জবিতে আজীবনের জন্য ছাত্র রাজনীতি বন্ধের আশ্বাস প্রশাসনের - dainik shiksha জবিতে আজীবনের জন্য ছাত্র রাজনীতি বন্ধের আশ্বাস প্রশাসনের মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের কারণ জানালেন পলক - dainik shiksha মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের কারণ জানালেন পলক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0036919116973877