দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আজ সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় হামুন-এ রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে এই ঝড়টি দেশের দিকে না আসলেও উপকূলে ভারী বৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান খান।
গভীর নিম্নচাপটির গতিপথ এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের দিকে থাকলেও এটি শক্তি বাড়িয়ে শেষ পর্যন্ত উপকূলের দিকে আসতে পারবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয় বলে জানান আব্দুর রহমান খান। তিনি বলেন, ঝড়টি বাংলাদেশ বা ভারতের দিকে আসুক বা না আসুক, এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আগামী দুই-তিন দিন চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে টানা বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য এলাকাতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আব্দুর রহমান খান বলেন, কক্সবাজার অভিমুখে গভীর নিম্নচাপটির বাতাসের গতি প্রায় ৫০ কিলোমিটার। সোমবার সন্ধ্যার মধ্যেই পরিণত হতে পারে ঘূর্ণিঝড় 'হামুন'-এ।
আজ সোমবার সকাল ৬টার দিকে গভীর নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৪০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮০০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমুকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
সাধারণত অক্টোবর ঘূর্ণিঝড়প্রবণ মাস। এই সময়ে কোনো নিম্নচাপ হলে তা সাধারণত ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়। যদি এই গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় তাহলে সেটির নাম হবে 'হামুন'।
এদিকে আরব সাগরে একটি গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় 'তেজ'-এ পরিণত হতে পারে। যদি এটিও ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয় তাহলে 'তেজ' বা 'হামুন' যেকোনো একটি শক্তিশালী হবে।