দৈনিকশিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : নিম্নমানের পাঠ্যবই ছাপানোর অভিযোগে দায়ী মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষাক্রম বোর্ড (এনসিটিবি)। গতকাল সোমবার এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, নিম্নমানের কাগজে পাঠ্যবই ছাপানোর বেশ কিছু অভিযোগ পেয়েছি। শিগগিরই এ-সংক্রান্ত কমিটি দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করবে। এরপরই সে সুপারিশ কার্যকর করা হবে। এবার দায়ী মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
চলতি বছরের জন্য প্রাথমিকে ৯ কোটি ৩৮ লাখের বেশি এবং মাধ্যমিক স্তরে সাড়ে ২১ কোটির বেশি বই ছাপানো হয়েছে। এসব বই দিতে সরকারকে এ বছর প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় করতে হয়েছে। কিন্তু বই বিতরণের পর দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের যেসব বিনা মূল্যের পাঠ্যবই দেয়া হয়েছে, তার অধিকাংশই নিম্নমানের। অনেক বইয়ের কাগজের মান আগের চেয়েও খারাপ। এ ছাড়া বাইন্ডিং ও ছাপাও নিম্নমানের।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির সাবেক সভাপতি তোফায়েল খান বলেন, কম দরে কাজ নিলে কখনোই মান ঠিক রাখা যায় না। এবারও তা-ই হয়েছে।
এনসিটিবি সূত্র বলছে, গত কয়েক বছরের মতো এবারও একশ্রেণির মুদ্রণকারী সরকারি দরের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম দরে কাজ নিয়েছেন। মুদ্রিত বইয়ের মানে এর ছাপ পড়তে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।