প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাজ্যের পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাবে বাংলাদেশ। আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আগামী সাধারণ নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানাব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র অব্যাহত থাকায় চরম দারিদ্র্যের হার ৫ দশমিক ৬ ও দারিদ্র্যের হার ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
বৈঠকে তাঁরা বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা করেন।
যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার বলেন, তাঁর দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব ও বিমান চলাচল খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে চায়। গত মার্চে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে দেশগুলোর মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির সঙ্গে সংগতি রেখে তাঁরা বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করতে চান।
শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ, বর্তমান শিশুর সঙ্গে ৪০ হাজার নবজাতক শিশু যুক্ত হচ্ছে এবং বাংলাদেশের জন্য এটা বিশাল বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক এবং তাদের অবশ্যই নিজ দেশে ফেরত যেতে হবে।
রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে তাঁর দেশ বাংলাদেশকে সমর্থন করে।
শেখ হাসিনা অবিলম্বে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। কারণ, এই যুদ্ধে সারা বিশ্ব ভুগছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় যেকোনো যুদ্ধের বিপক্ষে।’
বাংলাদেশ তাদের সব দ্বিপক্ষীয় সমস্যার সমাধান করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে তাদের সমস্যা সমাধান করতে পারে।
সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।