দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এই নির্বাচনের বিজয় বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বিজয়। এই নির্বাচনের বিজয় বাংলাদেশের জনগণের বিজয়। এই নির্বাচনের বিজয় গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার বিজয়।’
তিনি বলেন, ‘এটুকু গর্ব করে বলতে পারি, এই পনেরো বছরে আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। আর ৭ই জানুয়ারির নির্বাচন, এই নির্বাচনে আমরা জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছি। জনগণের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করেছি। আমরা নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। উন্মুক্ত করে দিয়েছি, এতে নির্বাচন অত্যান্ত প্রতিযোগীতামূলক হয়েছে।’
টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন উপলক্ষ্যে গণভবনে আজ মঙ্গলবার প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতাদের শুভেচ্ছা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে আসেনি। কারণ তারা নির্বাচনে আসবে কি করে? অনেকে মনে করেছিল বিএনপি মনে হয় সাংগঠনিকভাবে আওয়ামী লীগের সমান সমান। কিন্তু তারা যে সমান সমান না সেটা প্রমাণ হলো ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচনে। যে নির্বাচনে এককভাবে আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২৩৩টি আসন, আর বিএনপি ২০ দলীয় জোট নিয়ে মাত্র ৩০টা সিট পেয়েছে। সেই থেকেই তারা নির্বাচন চায় না। তারা নির্বাচন নষ্ট করার জন্য অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ হত্যা, এবারও সন্তান সহ মাকে পুড়িয়ে মেরেছে। সুতারাং তারা যত বেশি এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করবে ততই মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচন নষ্ট করে দিয়ে কিভাবে অবৈধভাবে ক্ষমতায় যেতে পারে সেই পথ তারা খুঁজে বেড়ায়। অন্ধকার গলি পথ খুঁজে বেড়ায়, আলো ঝলমল নির্বাচন আর জনগণের পথে তারা পথ হারিয়ে ফেলে। আর এখন ভোট বাতিলের চক্রান্ত করছে বিএনপি।’
প্রবাসী নেতাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বাধীনতা-সংগ্রামে বিশ্ব জনমত সৃষ্টিতে প্রবাসীরা বিরাট অবদান রাখেন। প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসীদের বিরাট অবদান রয়েছে। সেটা ছাড়াও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।’
তিনি বলেন, ‘প্রবাসীরা আমাদের স্বাধীনতা-সংগ্রামে, যেকোনো আন্দোলনে অবদান রেখেছেন। যখন বাংলাদেশে মার্শাল ল জারি হয়, আমরা যখন কাজ করতে পারি না, তখন প্রবাসীরা প্রতিবাদ জানান। আপনারা আন্দোলন-সংগ্রাম করেন। জনমত সৃষ্টি করেন। এটা আমাদের জন্য বিরাট শক্তি।’