নোট বা গাইড বই বিক্রি নিষিদ্ধ থাকলেও মেহেরপুরে এসব বই বিক্রির যেন ধুম পড়েছে। জেলা ও উপজেলা শহরের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে প্রকাশ্যে চলছে বেচাকেনা। অভিযোগ উঠেছে, কিছু শিক্ষক ও কয়েকটি প্রকাশনীর প্রতিনিধিদের প্ররোচনায় শিক্ষার্থীরা সহায়ক বইয়ের নামে নোট-গাইড কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। যে কারণে প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। আর লাভবান হচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, দিগন্ত, লেকচার ও দিকদর্শনসহ বিভিন্ন প্রকাশনীর নোট ও গাইড বইয়ে সব লাইব্রেরি ভরা। গাংনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে রয়েছে লাইব্রেরি শ্যামলী বুকল্যান্ড ও বই জগৎ, মেহেরপুর শহরের পপি লাইব্রেরি, কেদারগজ্ঞের ফারুক লাইব্রেরি। অভিযোগ রয়েছে, এসব লাইব্রেরির তত্ত্বাবধানে জেলাজুড়ে নোট ও গাইড বই বিক্রি হচ্ছে।
ভ্যানচালক হামিদুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হয়। তার ওপর মেয়েদের পড়াশোনার জন্য উচ্চমূল্যের গাইড বই কেনা কষ্টকর।
গাংনীর লাল্টু মিয়া দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বাধ্য হয়ে বাচ্চার জন্য বই জগৎ থেকে চতুর্থ শ্রেণির গাইড কিনতে হয়েছে।
অভিভাবকরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, শিক্ষকরাই বিভিন্ন কোম্পানির নোট-গাইডের সহায়তা নেয়ার কথা বলেন। শিক্ষকের কথা শুনে শিক্ষার্থীরা বাড়িতে এসে বায়না ধরে গাইড কিনতে হবে।
তবে নোট গাইড নয় সহায়ক বই বিক্রি করছেন বলে দাবি করেছেন মেহেরপুর পপি লাইব্রেরির মালিক ও জেলা নোট গাইড সমিতির সভাপতি পাপ্পু ও সাধারণ সম্পাদক গাংনী বই জগতের মালিক বাবু।
জানতে চাইলে গাংনী সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পারভেজ সাজ্জাদ রাজা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমরা নোই-গাইড বই কিনতে উৎসাহিত করছি না।
মেহেরপুরের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ভূপেশ রঞ্জন রায় দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, চিঠি দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নোট-গাইড কিনতে নিরুসাহিত করা হয়েছে। শিক্ষকরা নোট-গাইড কিনতে বাধ্য বা উৎসাহিত করলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।