দ্রব্যমূল্যের চড়া দাম নিয়ন্ত্রণ এবং নির্ভেজাল পণ্য নিশ্চিত করতে এবার বাজার মনিটরিংয়ে নেমেছেন বরিশালের শিক্ষার্থীরা। বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে নিত্যপণ্যের দাম ভোক্তাদের নাগালে আনতে পণ্য কেনার রসিদ ও বিক্রয় মূল্য সামনে টাঙিয়ে রাখতে বিভিন্ন বাজার ঘুরে পর্যবেক্ষণ, মাইকিং এবং লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করছেন তারা। এছাড়া বাজারে কোনো প্রকার চাঁদাবাজি হলে সবাই মিলে প্রতিহত করার ব্যাপারে ব্যবসায়ীদেরকে আহ্বান করেছেন তারা।
বরিশালে শহরে শিক্ষার্থীদের কয়েকটি টিম বাজারগুলোতে নিয়মিত মনিটরিং শুরু করেছে, যা সাধারণ মানুষ স্বাগত জানিয়েছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা আলাদা আলাদা টিম গঠন করে ধারাবাহিকভাবে প্রতিটি বাজারে মনিটর করছে, যাতে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম না বাড়াতে পারে।এছাড়া, চাঁদাবাজিরোধ এবং সচেতন বৃদ্ধির জন্য মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করছে।
চৌমাথা বাজারের ব্যবসায়ী আদেল খান বলেন, শিক্ষার্থীরা বাজারে এসে আমাদের সবগুলো দোকান ঘুরে ঘুরে মনিটর করেছেন। কেউ যদি সিন্ডিকেট করে অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি করে বা ভেজাল পণ্য বিক্রি করে তাকে বয়কটের কথা জানিয়েছেন তারা। এছাড়া কেউ যদি কোথাও চাঁদাবাজি করতে আসে, শিক্ষার্থীদের ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
তদারকিতে নিয়োজিত থাকা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী হাফিজুর রহমান জানান, বাংলাদেশকে বিনির্মাণে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। আমরা বাজার ঘুরে বিভিন্ন পণ্যের মূল্য, পণ্যের মেয়াদ আছে কিনা এবং মূল্য তালিকা আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা কোনো ধরনের সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজিকে প্রশ্রয় দেবো না। আমরা ক্রেতা বিক্রেতা উভয়কেই সতর্ক করেছি যাতে কেউ অতিরিক্ত মূল্য না নেয় এবং ক্রেতারা যাতে এমন কিছু হলে প্রতিবাদ করে। বিক্রেতারা ক্ষমতার প্রভাব দেখানোর চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীদের জানাতে বলেছি।