সীমাহীন দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে রাজধানীর মনিজা রহমান গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ লুৎফুন নাহারের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন ছাত্রীরা।
বুধবার বিকেলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।
এ সময় ছাত্রীরা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, লুৎফুন নাহার মনিজা রহমান গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ মার্চ অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের তারিখে তার অভিজ্ঞতা প্রায় দশ বছর। কারণ তিনি ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের মে মাসের ব্রাহ্মণ শাসন মহিলা কলেজে প্রথম এমপিও ভুক্ত হন। ফলে তার অধ্যক্ষ হওয়ার যোগ্যতা ছিলো না। সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে তিনি নিয়োগ পান। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল-কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ অনুযায়ী অধ্যক্ষ হতে হলে ১২ বছরের অভিজ্ঞতা প্রয়োজন।
অধ্যক্ষ লুৎফুন নাহার ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ আগস্ট ঘাটাইলের ব্রাহ্মণ শাসন মহিলা কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগাদান করেন। একই বছরের ২০ আগস্ট ৩ নম্বর আলোচ্যসূচির মাধ্যমে গর্ভনিংবডির মিটিংয়ের নিয়োগ বৈধ করা হয়। তিনি নিয়োগপত্র পান ২৩ আগস্ট।
পরিপত্র অনুযায়ী উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে অধ্যক্ষ হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা তার নেই এবং কাম্য অভিজ্ঞতা নেই। পাসকোর্সে স্নাতকোত্তর হলে যেকোনো একটিতে প্রথম বিভাগ থাকতে হবে। কিন্তু বর্তমান অধ্যক্ষের শিক্ষাজীবনে কোনো প্রথম বিভাগ নেই। প্রতিষ্ঠানের সভাপতি অজ্ঞ ও অর্থলোভী বিধায় আর্থিক সুবিধা নিয়ে তাকে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেন।
ছাত্রীরা আরো বলেন, নিয়োগ পরীক্ষায় ৪ জন বৈধ প্রার্থী হাজির হয়েছিলেন। যার মধ্যে একজনের এমপিও নেই। অপরজন এলপি আর এ গেছেন। ফলে ২ জন বৈধ প্রার্থী ছিলো। কিন্তু নিয়োগ কমিটি অবৈধভাবে ৭ জন প্রার্থী দেখিয়ে কোরাম পূরণ করেন। তার নিয়োগ পরীক্ষায় ডিজির কোনো প্রতিনিধি ছিলো না ফলে এ নিয়োগ সম্পূর্ণ অবৈধ।