নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় শেষে ১-১ গোলের সমতা ম্যাচে। টাইব্রেকার শুরু হবে, যা আসলে স্নায়ুরও পরীক্ষা। সেই টাইব্রেকারে ব্রাজিলের প্রথম শটটা নিলেন বদলি নামা তরুণ ফরোয়ার্ড রদ্রিগো। কিন্তু চরম স্নায়ুচাপের কাছে হার মেনে তিনি নিলেন দুর্বল শট, যা আটকে দেন ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা ক্রোয়েশিয়ার গোলকিপার দমিনিক লিভাকোভিচ।
তারপর একে একে শট নিলেন কাসেমিরো, পেদ্রো, মার্কিনিওস। ওদিকে ক্রোয়েশিয়ার চারজনই গোল করলেন। কিন্তু রদ্রিগোর পর মার্কিনিওসের মিস সর্বনাশ করে দেয় ব্রাজিলের। ৪-২ ব্যবধানে টাইব্রেকারে জিতে ক্রোয়েশিয়া উঠে যায় বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে।
এরপর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে, বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের মতো একটি চাপের ম্যাচে প্রথম কিকটি নেওয়ার দায়িত্ব ব্রাজিল কোচ তিতে কেন ২১ বছর বয়সী রদ্রিগোকে দিলেন? কেন নেইমার প্রথম চারজনের মধ্যে শট নিলেন না?
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনেও এ প্রশ্ন উঠেছিল। ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কোচ তিতে বলেছেন, ‘পঞ্চম শটটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও অনেক চাপ থাকে। নেইমার সেই চাপ নিতে পারবে। এ জন্য তাকে পঞ্চম শটের জন্য রাখা হয়েছিল।’
ম্যাচ শেষের ঘণ্টা দু-একের মধ্যে তিতে ব্রাজিল দলে নিজের অধ্যায়ের ইতি টানেন বলে খবর দিয়েছে ব্রাজিলের ও’গ্লোবো, ইংল্যান্ডের স্কাই স্পোর্টস ও ডেইলি মেইল।