নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বিএমএস বিভাগের ছাত্র শামীম আহমেদের উপর হামলার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের দলনেতাসহ মোট ৭ জনকে আটক করেছে র্যাব ও পুলিশ। শামীম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে নোয়াখালীর মাইজদি হাউজিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে আটক করে র্যাব-১১। র্যাবের অভিযানের পরপরই আরও ২ জনকে আটক করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কিশোর গ্যাং লিডার রাব্বি (২৮), রনি (২৪), অধির (১৮), শাওন (১৮) ও রাফসানসহ (২০) আরও দু’জন।
র্যাবের সুপার স্কোয়াড কমান্ডার গোলাম মোর্শেদ জানান, বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও তার বন্ধুরা মাইজদি শহরের হাউজিং এলাকায় ভাড়া নিতে বাসা খুঁজছিলেন। এসময় অভিযুক্তরা তাদের পিছু নিয়ে মেয়ে শিক্ষার্থীদের উত্ত্যক্ত করতে থাকে। আহত শামীম এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে অভিযুক্তরা তার উপর হামলা করে। পরে তাকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তিনি জানান, আটককৃতরা দীর্ঘ দিন থেকে মাইজদি ও তার আশপাশের এলাকায় মারামারি, দাঙ্গা-হাঙ্গামাসহ নানা অপরাধমূলক কাজ করে আসছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের দোষ স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুধারাম মডেল থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সুধারাম থানার ওসি জাহেদুল হক রনি বলেন, র্যাবের অভিযানের পরপরই আরও ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গ্রেফতার ৭ জনকে শুক্রবার বিকেলে নোয়াখালীর বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।