নোয়াখালীতে ফেনীর মহুরী নদীর পানি ঢুকে নয়টি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। নতুন করে জেলার অনেক এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হচ্ছে। এদিকে এ জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহওয়া অফিস। এমন পরিস্থিতি জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।
বুধবার (২১ আগস্ট) জেলা প্রশাসন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সড়কের পানি নামলে পরবর্তীতে চালু করা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এদিকে জেলার অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও পানি ঢুকেছে। এতে শ্রেণি কার্যক্রম চালাতে বেগ পেতে হয় শিক্ষকদের। প্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসার সময় ভোগান্তিতে পড়তে হয় শিক্ষার্থীদের।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এরইমধ্যে নোয়াখালীর অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে। এতে শ্রেণি কার্যক্রম চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুদের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিষ্ঠানে আসতে হয়। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। সার্বিক বিবেচনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, টানা বৃষ্টিতে জেলা শহর মাইজদীসহ নয়টি উপজেলার বেশির ভাগ এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে গেছে। এদিকে জলাবদ্ধতায় ডুবে গেছে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও ফসলের মাঠ। এ ছাড়া নোয়াখালী পৌরসভার বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছে, জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করায় মানুষজন ছুটছে আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে। বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ফেনীর মহুরী নদীর পানি নোয়াাখালী ঢুকছে। এরপর মহুরী নদীর পানি লক্ষীপুর হয়ে নেমে যাবে। পানি এ জন্য বাড়বে। সকালে বিষয়টি আমাকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে। মুহুরী নদীর পানি বেশি প্লাবিত হওয়াতে নোয়াখালীও প্লাবিত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, প্রথমে নোয়াখালীতে ছিলো জলাবদ্ধতা। এখন যে অবস্থা তাতে পানি নামার কোনো সুযোগ নেই। মহুরী নদী থেকে পানি আসছে। যারা বন্যায় আক্রান্ত তাদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এজন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরি বৈঠক ডাকা হবে।