মাত্র তিন বছর বয়সে সেলমা পক্ষাঘাতের কারণে পঙ্গু হয়ে যান। ফলে তাঁকে পড়ালেখা শিখতে হয় ঘরে বসে, গৃহশিক্ষকের কাছে। শারীরিকভাবে পঙ্গু হলেও মানসিকভাবে কখনোই ভেঙে পড়েননি তিনি। ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী প্রথম নারী সেলমা ওতিলিয়ানা লভিসিয়া লাগেরলফ।
১৮৫৮ খ্রিষ্টাব্দের ২০ নভেম্বর সুইডেনের মারবাকা অঞ্চলের ভার্মল্যান্ড শহরে জন্মেছিলেন সেলমা। তিনি ছিলেন সুইডিশ লেখক, শিশুসাহিত্যিক এবং শিক্ষক। তাঁর বাবা এরিক গুস্তাফ লাগেরলফ ছিলেন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আর মা ছিলেন এলিজাবেথ লভিসা ওয়ালওয়ার্প। ১৮৮২ খ্রিষ্টাব্দে স্টকহোমের রয়্যাল উইমেন্স সুপিরিয়র ট্রেনিং একাডেমি থেকে শিক্ষকতা বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেন সেলমা। লান্ডসক্রোনার একটি স্কুলে ১৮৮৫ থেকে ১৮৯৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত শিক্ষকতা করেন।
‘ইডান’ নামের পত্রিকা আয়োজিত গল্প লেখা প্রতিযোগিতায় লিখেই লেখালেখি জীবনের সূচনা সেলমার। তাঁর লেখায় ফুটে ওঠে সুইডেনের অধিবাসীদের অতীত জীবন। ১৮৯১ খ্রিষ্টাব্দে সেলমা লাগেরলফের প্রথম বই ‘দ্য স্টোরি অব গোস্টা বার্লিং’ প্রকাশিত হয়। এটি ভার্মল্যান্ডের লোককাহিনির দুই খণ্ডের একটি গীতিধর্মী বর্ণনাকেন্দ্রিক বই।
১৮৯৮ খ্রিষ্টাব্দে বইটি ইংরেজি ভাষায় অনূদিত হয়। ১৮৯৫ খ্রিষ্টাব্দে শিক্ষকতা ছেড়ে পুরোদমে লেখালেখি শুরু করেন সেলমা। একাডেমি সদস্যপদ এবং নোবেল সাহিত্য পুরস্কার উভয় ক্ষেত্রেই সেলমা প্রথম নারী ছিলেন।