বিগত কয়েক বছর আমরা করোনা মহামারি মোকাবেলা করেছি। সেজন্য বাধ্য হয়ে সরকার শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু সুযোগ দিয়েছে যাতে তারা এ সমস্যাটা ওভারকাম করে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারে। তাই গত বছর বা তার আগের বছরের ফলাফলের সাথে তুলনা করলে দেখা যাবে, এ বছর এইচএসসির ফলাফল ভালো হয়নি। কিন্তু, আমরা যদি তার আগের ফলাফলের সাথে তুলনা করি, তাহলে দেখা যাবে, ফলাফল ঠিকই আছে। পাসের হার ও জিপিএ-৫ এর হার এরকমই ছিলো। হঠাৎ করে পাসের হার ৯০-৯৫ শতাংশে উঠে যাওয়াটা অস্বাভাবিক। এখন মনে হচ্ছে শিক্ষকরাও খাতা মূল্যায়নে একটু মনোযোগী হয়েছেন। আগে তারা ছাড় দিয়েছিলেন। এ বছর মনে হচ্ছে, মনোযোগের সাথে দেখেছেন।
সম্প্রতি প্রকাশিত ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসির ফলাফলে পাসের হার ও জিপিএ ৫ কমে যাওয়ার কারণ এভাবেই মূল্যায়ন করলেন সিটি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বেদার উদ্দিন আহমেদ। দৈনিক আমাদের বার্তার মুখোমুখি হয়ে এবার ফল খারাপ হওয়ার আরো কিছু কারণ বিশ্লেষণ করেন খ্যাতনামা এই শিক্ষাবিদ। পাশাপাশি এবার পাস করা ও আগামী পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকা শিক্ষার্থীদের ভালো করার পরামর্শও দেন।
প্রফেসর বেদার উদ্দিন আহমেদ বলেন, এবার এইচএসসির ফল খারাপ হওয়ার আর একটা কারণ হতে পারে, করোনার কারণে তাড়াহুড়া করে সিলেবাস শেষ করতে হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নার্সিং করার পর্যাপ্ত সময় আমরা পাইনি। অনুরূপভাবে শিক্ষার্থীরাও টেস্ট পরীক্ষার পর টেবিলে বসে পড়ার সময় কম পেয়েছেন। এ কারণে গতবছরের তুলনায় ফলাফল একটু খারাপ হয়েছে।
এবার আমাদের কলেজের ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখেছি, ৯০ শতাংশ ছাত্রই সামান্য মার্কের জন্য জিপিএ-৫ পায়নি। অবশ্য, শুধু জিপিএ ৫ দিয়ে ফলাফল মূল্যায়ন করলে চলবে না। এরপরে তারা অ্যাডমিশন টেস্টে কেমন ফলাফল করে সেটাও দেখতে হবে। সেখানে তাদের মেধা যাচাইয়ের আরেকটি সুযোগ রয়েছে।
অবশ্যই এবার সময়ের ঘাটতি ছিলো। করোনার কারণে শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল। সেখান থেকে তারা পুরোপুরি বেরিয়ে আসতে পারেনি।
যেহেতু এবার রেজাল্ট এরকম হয়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের আরো বেশি পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া দরকার। তাহলে সামনে রেজাল্টটা আরো ভালো আসবে।
২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের যারা পরীক্ষার্থী তাদের বলব, সামনে যে সময়টা আছে, খুবই অল্প সময়। তাই তারা যদি একটা রুটিন করে এই সময়টা কাজে লাগায়, তাহলে অবশ্যই ভালো করবে। প্রতিদিনই তাদেরকে পড়াশোনা করতে হবে অন্তত ৪ ঘণ্টা। আরো বেশি হলে আরো ভালো। তবে অন্তত চার ঘণ্টাও যদি নিয়মিত পড়াশোনা কর তাহলেও ভালো রেজাল্ট করা সম্ভব। পড়াশোনার কোনো বিকল্প নেই। পড়াশোনা করতেই হবে। পাশাপাশি বাসায় বসে লিখতে হবে। অনেক ছাত্র-ছাত্রীকে দেখা যায় সব প্রশ্ন পারে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লিখে আসতে পারে না। তাদের আরো সচেতন থাকতে হবে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।