পাবনার আতাইকুলা আমেনা খাতুন ডিগ্রি কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহেল আল মাহমুদ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে পদত্যাগ করলেও ফের স্বপদে বসানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি’র নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। তারা পদত্যাগপত্রও ছিঁড়ে ফেলেছেন। তিনি সাবেক ডেপুটি স্পিকারের আস্তাভাজন এবং নিয়োগকৃত। গতকাল সকালে আতাইকুলা মাধপুর আমেনা খাতুন (একে) ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। কলেজ কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই অধ্যক্ষ সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর অত্যন্ত আস্থাভাজন হিসেবে আওয়ামী লীগ পরিচয় দিয়ে দুই বছর আগে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ দখল করেন।
নিয়ম অনুযায়ী ৬ মাসের বেশি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদে না থাকার নিয়ম থাকলেও তিনি ক্ষমতার প্রভাবে এতদিন পদটিতে বহাল ছিলেন। পরে সরকার পতনের পর কৌশলে এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ড করে স্থানীয় বিএনপি’র নেতাকর্মীদের সঙ্গে রহস্যজনকভাবে সখ্যতা গড়ে তোলেন। তারা আরো জানান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে রোববার পদত্যাগ করেন। এর একদিনের মাথায় শ্রমিক দল নেতা আব্দুল বারেক, সাঁথিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন হোসেন রাসেল, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি রাজিব, সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল সরদারের নেতৃত্বে? স্থানীয় বিএনপি’র নেতাকর্মীরা তাকে ওই পদে বসিয়ে সেখানে অবস্থান নেন। আগের দিন পদত্যাগের স্বাক্ষরিত কপি ছিঁড়ে ফেলেন।
বিষয়টি নিয়ে কলেজ ও এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ডেপুটি স্পিকারের নিয়োগকৃত? আওয়ামী লীগপন্থি এই অধ্যক্ষের পক্ষ নেয়ায় বিএনপি’র অভ্যন্তরেও ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে মুঠোফোনে ওই অধ্যক্ষের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সাঁথিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন হোসেন রাসেল বলেন, একদল দুর্বৃত্ত জোর করে তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছিলেন। এ প্রতিষ্ঠানে যাতে কোনো দুর্বৃত্ত ও উগ্রবাদীরা মাথাচাড়া দিতে না পারে সে জন্য আমরা গিয়েছিলাম। এ বিষয়ে পাবনা জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব এডভোকেট মাসুদ খন্দকার জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে আসলে দলগত যে সিদ্ধান্ত (ব্যবস্থা) সেটা আমরা নেবো।