পোস্টিং মামলায় সিবিআইকে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও সোমবার এই নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তিকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
পোস্টিং দুর্নীতি মামলায় আরও ৪০ জন শিক্ষক সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন। মঙ্গলবার সকালে কলকাতার নিজাম প্যালেসে (যেখানে সিবিআই দফতর রয়েছে) হাজিরা দিয়েছেন শিক্ষকরা। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। এর আগে, সোমবার ৩০ জন শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পোস্টিংয়ে কোনও কারচুপি হয়েছিল কি না, সেই নিয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
পোস্টিং মামলায় সিবিআইকে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি এ-ও জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনে ৩৪৪ জন প্রাথমিক শিক্ষককেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তার পরেই ধাপে ধাপে শিক্ষকদের তলব করছে সিবিআই। যদিও সোমবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তিকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
২০২০ খ্রিষ্টাব্দে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ হয়েছিল। সেই সময় শিক্ষকদের পোস্টিংয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কোন স্কুলে কার পোস্টিং হবে, তাতে অনিয়মের অভিযোগ তুলে কয়েক জন শিক্ষক মামলা করেছিলেন। গত ২৫ জুলাই এই বিষয়ে সিবিআই এবং ইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই দিন রাতে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জেরার নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি। তাঁরই নির্দেশ অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষকদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া শুরু করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।