পদ্মা সেতুতে বিনিয়োগ করার জন্য এডিবি, বিশ্বব্যাংকের মতো বিদেশি অনেক সংস্থাই এগিয়ে এসেছিল। কিন্তু একটি ব্যাংকের এমডি (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) পদের জন্য বিদেশি বিনিয়োগ আটকে যায়। এই পদ নিয়েই যত জটিলতা যত সমস্যা। ব্যাংকের আইন অনুযায়ী একজন ২০ বছর পর্যন্ত এমডি থাকতে পারবে। ইতোমধ্যে তার বয়স ৭০ হয়ে গেছে। অতিরিক্ত সময় থেকে ফেলেছেন। তাহলে সে আর ব্যাংকের এমডি পদে থাকেন কিভাবে। একজন নোবেল বিজয়ী সামান্য এমডির জন্য এতো লালায়িত কেন? এই প্রশ্নের উত্তর কখনো পেলাম না।
তিনি বলেন, এই পদের জন্য বড় বড় দেশের অ্যাম্বাসেডর আমার অফিসে এসে আমার অফিসারদের সাথে উচ্চস্বরে কথা বলে। তাদেরকে বলে এমডির পদ না থাকলে বিদেশি অর্থায়ন বন্ধ হয়ে যাবে। এমডির পদের জন্য হিলারি ক্লিনটন, শেরি ব্লেয়ার আমাকে ফোন করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা আসলো। আমি শুধু তাদেরকে বলেছি এই এমডি পদে কী মধু আছে?
শুক্রবার (৫ জুলাই) পদ্মা সেতু প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি একথা বলেছেন।
পদ্মা সেতুর উত্তর থানা সংলগ্ন মাঠে এই সমাপনী অনুষ্ঠান ও সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। এই একই মাঠে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ও রেল সংযোগ প্রকল্পের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে যারা কথায় কথায় খবরদারি করতো, পদ্মা সেতু নির্মাণের পর তাদের মানসিকতা বদলে গেছে। এই সেতুর জন্য দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।
এই অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে সরকার প্রধান বলেন, সাধারণত কোনো প্রকল্পের শেষে সমাপনী অনুষ্ঠান হয় না। কিন্তু পদ্মাসেতুর ওপর দিয়ে অনেক ঝড় গেছে। এই সেতুর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাতেই এই আয়োজন।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু আমাদের গর্বের সেতু। একটি সিদ্ধান্ত আমাদের ভাবমূর্তি পালটে দিয়েছে। বিশ্ববাসী এখনামাদের সমীহ করে চলে।