প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রাথমিক স্তরের বইগুলোর ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন ও পরিমার্জন করা হয়েছে। এতে বই ছাপাতে কিছুটা দেরি হচ্ছে। তবে বছরের শুরুতে প্রাথমিক স্তরের সব পাঠ্যপুস্তক শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
রোববার (১৭ নভেম্বর) সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, তবে এ মুহূর্তে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেড দেওয়া বাস্তবসম্মত নয়। অন্তর্বর্তী সরকারের বর্তমান লক্ষ্য প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড নিশ্চিত করার পাশাপাশি সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ তৈরি করা। সহকারী প্রধান শিক্ষকের ৯ হাজার ৫৭২টি পদ সৃজনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পাওয়া গেছে। সেখানে সহকারী শিক্ষকরা শতভাগ পদোন্নতি পেয়ে প্রধান শিক্ষক হবেন।আরো পড়ুন:
প্রাথমিকের শিক্ষকদের দশম গ্রেড এ মুহূর্তে বাস্তবসম্মত না: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
জানুয়ারিতেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়া হবে
প্রাথমিকের ১০ম গ্রেডের দাবি সর্বজনীন
উপদেষ্টা আরো বলেন, ত্রুটিপূর্ণ প্রাথমিক শিক্ষা দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করে। দেশকে উন্নত করতে হলে প্রাথমিক শিক্ষাকে গতিশীল করতে হবে। এজন্য প্রত্যেকের নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক ও রাজস্ব) দেবজিৎ সিংহের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বাজেট ও অডিট) সাখাওয়াৎ হোসেন ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) আবু নূর মো. শামসুজ্জামান। পরে উপদেষ্টা নগরের একটি হোটেলে ‘ওয়ার্কশপ অন ডিজাইনিং ফর দ্যা নেক্সট সেক্টর প্রোগ্রাম পিইডিপি-৫’-এ অংশ নেন।