দৈনিকশিক্ষাডটকম, কুমিল্লা: কুমিল্লার তিতাসে একটি এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের সংরক্ষিত এলাকায় তিন দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করেছে স্থানীয় ছাত্রলীগ। এই কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেবে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬০০ পরীক্ষার্থী। তবে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পাবলিক পরীক্ষা আইন অনুসারে কেন্দ্রের সংরক্ষিত এলাকায় মেলা করার বিধান নেই।
এটি বলরামপুর ইউনিয়নে অবস্থিত গাজীপুর খান সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র।
আগামী ১৮-২০ ফেব্রুয়ারি মেলার দিন নির্ধারিত থাকলেও স্থানীয়দের অভিযোগ, মেলা স্থায়ী হয় সপ্তাহব্যাপী।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের তথ্যমতে, আজ বৃহস্পতিবার বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে এবারের এসএসসি পরীক্ষা। পরীক্ষার সময়সূচি অনুযায়ী ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলা দ্বিতীয় পত্র ও ২০ ফেব্রুয়ারি ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা হবে। পরীক্ষা চলাকালে ২০০ গজের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারির কথা জানিয়ে এরই মধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে শিক্ষা বোর্ড।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছর ১৮, ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি হজরত পীর শাহবাজ (রহ.) মাজার প্রাঙ্গণে বার্ষিক ওরস উপলক্ষে এখানে জড়ো হন মুরিদ ও ভক্তরা। মাজারসংলগ্ন গাজীপুর খান সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে বসে এ মেলা। কিন্তু এবার এসএসসি পরীক্ষার আগে মেলা হওয়ায় দেখা দিয়েছে বিপত্তি। এরই মধ্যে মাঠে বিভিন্ন স্টল ও স্থাপনা তৈরি করতে মালপত্র এনে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। কয়েকজন পরীক্ষার্থী বলেছে, পরীক্ষার সময় মেলা না করে পিছিয়ে দেওয়া হলে বড় কোনো সমস্যা হতো না।
প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ আবদুল বাতেন বলেন, ‘এ পরীক্ষা কেন্দ্রে অংশ নেবে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬০০ পরীক্ষার্থী। পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি তিতাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তাই এ বিষয়ে তিনিই ভালো বলতে পারবেন। আমি এ বিষয়ে আর কোনো কথা বলব না।’
কথা হয় মেলা আয়োজক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও তিতাস উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুল হাসান তুষারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার দিন দুপুরের পর মেলা শুরু হলে বড় কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হাসানের ভাষ্য, জেলা কিংবা উপজেলা প্রশাসন থেকে মেলার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাই পরীক্ষার বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে কেন্দ্রের সংরক্ষিত এলাকায় মেলা করতে দেওয়া হবে না।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নিজামুল করিম বলেন, যেহেতু পাবলিক পরীক্ষা আইন অনুসারে পরীক্ষা চলাকালে ২০০ গজের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি থাকে, তাই কেন্দ্রের সংরক্ষিত এলাকায় মেলা করা যাবে না। স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে।