ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে পরীক্ষার নম্বরে অসঙ্গতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্ত ওই অধ্যাপকের নাম জিয়া রহমান। তিনি বিভাগটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও বর্তমানে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিনের দায়িত্বে রয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট নিয়ে পর্যালোচনা করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিষয়টি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সিন্ডিকেট সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামালকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিকে দুদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়া রহমানের বিরুদ্ধে সিআরএম-৪১১ নং কোর্সের (লোকাল অ্যান্ড গ্লোবাল টেররিজম) মিডটার্ম পরীক্ষায় নম্বর অসঙ্গতি, চূড়ান্ত পরীক্ষার আগে সেশনাল নম্বর না দেয়ার অভিযোগ তোলে ওই বিভাগের চার শিক্ষার্থী। গত ২৫ মে অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ওই শিক্ষার্থীরা অধ্যাপক জিয়া রহমানের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
এদিকে গত ৭ জুন হাইকোর্টে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের পক্ষে রিট করেন এক আইনজীবী। গত সোমবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে নম্বরে অসঙ্গগতির অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে দুই মাসের মধ্যে তদন্তের কাজ নিষ্পত্তি করা এবং প্রভিশনাল (সাময়িক) বা মূল সার্টিফিকেট দেয়া স্থগিত রাখার আদেশ দেয়া হয়। সেই সঙ্গে ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়।