ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ৭ম সেমিস্টারের সিআরএম-৪১১ নং কোর্সের (লোকাল অ্যান্ড গ্লোবাল টেররিজম) মিডটার্ম পরীক্ষায় নম্বর অসঙ্গতি, চূড়ান্ত পরীক্ষার আগে সেশনাল নম্বর না দেওয়ার বিষয়ে ৪ শিক্ষার্থীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোর্স শিক্ষক অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। জিয়া রহমান সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্বে পালন করছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট সভায় এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামালকে আহবায়ক করে ৪ সদস্যের এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কমিটিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তবে ইদের ছুটি হওয়ার কারণে সময় কিছুটা বাড়ানো হতে পারে।
এর আগে দুই দফা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানিয়ে প্রতিকার না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ৪ শিক্ষার্থী। গত সোমবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ দুই মাসের মধ্যে তদন্তের নির্দেশ দেন।
একইসঙ্গে উপ-উপাচার্যের (শিক্ষা) নেতৃত্বে অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশও দেওয়া হয়। এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সিন্ডিকেট সদস্য বলেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সীমা জামান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. তাসনিম আরেফা সিদ্দিকী, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরীকে নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে।