৫ দিন পর চালু হল ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার পর থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে বুধবার সারাদেশে ফোরজি সেবা বন্ধ করে দেয় মোবাইল অপারেটরগুলো। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নির্দেশে অপারেটররা এই পদক্ষেপ নেয়। ফলে ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের মুখে পরে যায় পুরো দেশ। আজ মঙ্গলবার রাতে সীমিত আকারে ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়েছে। ইতোপূর্বে এই চালুর বিষয়টি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে শুধুমাত্র ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হবে। আপাতত ঢাকা ও চট্টগ্রামে এই সেবা চালু হবে। তবে, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হলেও ফেইসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়েছেন পলক।
এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার সারাদিন মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল। সেদিন রাত থেকে ব্রডব্যান্ড সংযোগও বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে গত পাঁচদিন ধরে সারা দেশে ইন্টারনেট যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
তখন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, গুজব ও অপতথ্য বন্ধে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। আর, সরকারের পক্ষ থেকে পরবর্তীতে দাবি করা হয়, “হামলা ও অগ্নিসংযোগের কারণে” বিটিআরসির স্থাপনা ও নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ব্রডব্যান্ড সংযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।