দৈনিক শিক্ষাডটকম, রাবি : খাবারে তেলাপোকা ও মাছি ফেলার ভয় দেখিয়ে পাঁচ বছর ধরে ডাইনিং ও ক্যানটিনে ফ্রিতে খাবার খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মিনহাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
এদিকে হলের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে গত তিন মাস ধরে খাবার ফ্রিতে খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে আরেক নেতা সোহানের বিরুদ্ধেও।
ভুক্তভোগী ক্যানটিন মালিক হলেন মো. আলতাফ হোসেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হবিবুর রহমান আবাসিক হলে ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ক্যানটিন চালান।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মো. মিনহাজুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী। অন্যদিকে সোহান আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
হলের ক্যানটিন ও ডাইনিং সূত্রে জানা যায়, শহীদ হবিবুর রহমান হলে ওঠার পর থেকে বাকির খাতায় ২৫-৩০ হাজার টাকা জমা হলেও কখনোই টাকা পরিশোধ করেননি ওই নেতা। বাকির টাকা চাইলে বিভিন্ন ভয় দেখান ক্যানটিন মালিককে। ফলে টাকা না পেয়ে একরকম হতাশ হয়ে তার নামে বাকি লেখা বন্ধ করে দিয়েছেন ক্যানটিন মালিক আলতাফ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শহীদ হবিবুর রহমান হলের আরেক নেতা সোহান আহমেদও একই কায়াদায় গত তিন মাস ধরে ফ্রিতে খাচ্ছেন।
বিষয়টি অস্বীকার করেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজুল ইসলাম বলেন, ক্যানটিনে আমার এতো টাকা বাকি নেই। বাকি খাচ্ছি এবং মাঝে মাঝে টাকা পরিশোধও করছি। তিন-চারশত টাকা হয়তো বাকি থাকতে পারে।
অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সোহান আহমেদও। তিনি বলেন, এমন অভিযোগ দিয়ে আমার ফাঁসানো হচ্ছে। আমার রুমে কোনো ধরনের খাবার আসে না।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা বসবো। সত্যতা পেলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নিবো বলে জানান তিনি।
শহীদ হবিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শরীফুল ইসলাম বলেন, ডাইনিং ও ক্যানটিনের কর্মচারীদেরকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাদের বাকি বা ফ্রিতে খাবার দিতে নিষেধ করে দিয়েছি। তবুও কেনো তাদেরকে তারা বাকি বা ফ্রিতে খাবার দিয়ে থাকে সেটা আমি জানি না।