দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক: সম্প্রতি পাল্টা-পাল্টি হামলার জেরে নিজ নিজ দেশের কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করে পাকিস্তান ও ইরান। এরপর দুুই দেশের সম্পর্কে ব্যাপক অবনতি হয়। কিন্তু ফের স্বাভাবিক হচ্ছে দেশ দুইটির কূটনৈতিক সম্পর্ক। বলা হয়েছে আগামী ২৬ জানুয়ারির মধ্যে দুই দেশের রাষ্ট্রদূতরা কর্মস্থলে ফিরবেন।
তাছাড়া পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রণে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান ২৯ জানুয়ারি পাকিস্তান সফর করবেন।
পাল্টাপাল্টি হামলার পর উত্তেজনা কিছুটা কমার ইঙ্গিত পাওয়া যায় ইতিবাচক বার্তা বিনিময়ে। ১৯ জানুয়ারি পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মমতাজ জাহরা বেলোচ এক্সবার্তায় জানিয়েছেন, পাকিস্তানের অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব রহিম হায়াত কোরেশি ও ইরানের অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব সৈয়দ রাসুল মৌসাভির মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে আলোচনা হয়েছে। তাদের আলোচনায় দুপক্ষের মধ্যে কিছু ইতিবাচক বার্তা বিনিময় হয়েছে। এরপর দুই দেশের কূটনীতিকদের কর্মে ফেরার খবর এল।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ইরানের পররাষ্ট্র সচিব সৈয়দ রসুল মৌসাভি মাইক্রো ব্লগিং সাইটে এক্সে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, আমি বিশ্বাস করি যে দুই দেশের বিদ্যমান উত্তেজনা সমাধানে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেষ আশ্রয়স্থল। দুই দেশের নেতা ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও জানেন যে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনা থেকে শুধু সন্ত্রাসী ও শত্রুরা লাভবান হবে।
তার সেই পোস্টের জবাবে দেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব রহিম হায়াত কোরেশি। তিনি তার ইরানের পররাষ্ট্র সচিবকে ‘প্রিয় ভাই’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, পাকিস্তান-ইরানের মধ্যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। ইতিবাচক আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যা সমাধানে দুই দেশকে এগিয়ে যেতে হবে।
সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে প্রথম হামলা চালায় ইরান। এরপর ইরানেও হামলা চালায় ইসলামাবাদ। পরে একে অপরের কূটনীতিক প্রত্যাহার করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
সূত্র: জিও নিউজ