শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, দক্ষতা অর্জনের প্রশ্নে এবং রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে সংবিধানের মূল নীতিমালার সাথে সন্নিবেশিত কোনো পাঠ্য, উপাত্ত বা তথ্যের ক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক দল বা সামাজিক প্রভাবশালী গোষ্ঠীর সাথে আমরা আপোষ করবো না।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে তার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের নেতাদের তিনি এ কথা বলেন। চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই সাক্ষাৎ পর্ব হয়। এ সময় হেফাজত নেতারা পাঠ্যপুস্তকের বিষয়ে তাদের বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ শিক্ষামন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন।
শিক্ষামন্ত্রী তাদের বলেন, আপনাদের যে পর্যবেক্ষণগুলো তুলে ধরেছেন তার যৌক্তিক নানান যে দিক আছে তা আমরা বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করে, পাঠ্যক্রমে সংশোধন করে সমাধানের করবো। আগামীতেও সকলের সাথে আমাদের আলোচনা চলমান থাকবে। ঈমান আকিদা বিরোধী বিতর্কিত কোন বিষয় যাতে না থাকে এ ব্যাপারে বর্তমান সরকার যত্নশীল। তবে কোনো রাজনৈতিক দল বা সামাজিক প্রভাবশালী গোষ্ঠীর সাথে আমরা আপোষ করবো না।
হেফাজতের সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব ও লালখান বাজার মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক মুফতি হারুন ইযহার, যুগ্ম মহাসচিব ও দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা নাসির উদ্দীন মুনীর প্রমুখ।
আলোচনা শেষে আশরাফ আলী নিজামপুরী জানান, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকার কারণে উপস্থিত হতে না পারায় তিন মহাসচিব শিক্ষামন্ত্রীকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
মন্ত্রী আমাদের কথা অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে শুনেছেন। তাঁর সাথে আলোচনায় আমরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি এবং সমস্যা সমাধানের বিষয়ে আশ্বস্ত হয়েছি।
এই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের হাটহাজারীর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মাওয়ানা আসাদ উল্লাহ, কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, মাওলানা জিয়াউর রহমান ফারুকী, মাওলানা জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।