পাঠ্যপুস্তকে ভুল ও দায়িত্বে অবহেলায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।
ছাত্র অধিকার পরিষদ সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীবের নেতৃত্বে পাঠ্যবইয়ে চৌর্যবৃত্তি, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ও ইতিহাস বিকৃতির প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়েছে।
সমাবেশে ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, আওয়ামী লীগ খুব সুপরিকল্পিতভাবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ধ্বংসের মিশনে নেমেছে। দেশের অর্থনীতি, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান ধ্বংসের পর 'ভুল ইতিহাস, সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ মূলক পাঠ্যবই প্রণয়ন' শিক্ষা খাত শেষ করে জাতীর ধ্বংস করছে। পাঠ্য বইয়ে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক থেকে হুবহু কপি করে গুগল ট্রান্সলেশনে বসানো হয়েছে। যা ইতোমধ্যে জাফর ইকবাল দায় স্বীকার করেছেন। আমরা তারসহ দায়িত্বে থাকা সকল লেখকদের পদত্যাগ চাই এবং অতিদ্রুত পাঠ্যবই সংশোধন করে পুনরায় ছাপানোর দাবি জানাচ্ছি।
কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লা বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলে, এখন পাঠ্যবইয়েই ভুলের ছড়াছড়ি। মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে, এখন সেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসেই বিকৃতি। বঙ্গবন্ধুর চেতনার কথা বলে, সেই বঙ্গবন্ধুর ইতিহাসেই ভুল। অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলে, এখন কোমলমতি শিশুদের পাঠ্যবইয়ে সাম্প্রদায়িক বিশ বাষ্প ছড়ানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে এই সরকার। পাঠ্যপুস্তক লিখতে গিয়ে যারা চুরি করেছেন তাদের এটা নেহাত ভুল নয় বরং অপরাধ। চোর ডাকাতদের যেমন শাস্তি হয় তাদেরও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। বরেণ্য শিক্ষাবিদদের মাধ্যমে পুর্নমূল্যায়ন করতে হবে।
সমাবেশে কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি তারিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন ছাত্র অধিকার পরিষদ নেতা রাসেল আহমেদ, তাওহিদুল ইসলাম তুহিন, মামুনুর রশীদ, আসিফ মাহমুদ, নেওয়াজ খান বাপ্পি, মারজিয়া প্রমুখ।