বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের সরকারি পাতারহাট আর সি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামের অপসারণ ও নতুন অধ্যক্ষ পদায়নের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১৮ আগস্ট) সকালে এ মানবন্ধন করেন তারা ।
ইউএনও ও ডিসিকে সম্মানী দেয়ার নামে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ রয়েছে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তার একটি ভিডিয়ো ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
এ বছরের ২৪ জুন ভাইরাল হওয়া ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর করা ৩মিনিট ৩ সেকেন্ডের ভিডিয়োতে দেয়া যায়, অতিরিক্ত ফি আদায় কেনো করছেন? ৫০০ টাকা দেয়ার এবিলিটি যাদের নাই তারা কি করবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, যারা গরিব তারা টাকা দিয়া গেছে, রিকশাওয়ালার পোলা টাকা দিয়া গেছে, যারা ধনী সামর্থ্যবান তারা যুদ্ধ করে কেমনে প্রিন্সিপালকে হেনস্তা করা যায়।
আরো পড়ুন: ডিসি, ইউএনওকে পরীক্ষার সম্মানী দিতে অতিরিক্ত ফি আদায় করেন অধ্যক্ষ!
ছাত্রীকে বলেন, তুমি গরীব হলে কেমনে? তুমি তো এন্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করো, আমি স্টুডেন্ট অবস্থায় তো চিন্তাও করি নাই। আমার ওপর দায় চাপালে হবে না আমি তো বেতনের টাকায় হাত দেব না, আমার তো সংসার আছে ইউএনওর সন্মানী, জেলা প্রশাসকের (ডিসি) সম্মানী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (এডিসি) সন্মানী পাঠাতে হবে। দুজন ট্যাগ অফিসার আছে এদের সম্মানী পাঠাতে হবে। আমাকে ২১ দিনের ট্রেনিংয়ে সম্মানী দিয়েছে ৫৩ হাজার টাকা; আর আমার খরচ হয়েছে ১ লাখ টাকা। আমাকে খরচ না দিলে আমি ট্রেনিং করবো না; এটা সমঝোতার পথ তোমরা সমঝোতার পথ বন্ধ করে দিলে তোমরাই ক্ষতিগ্রস্থ হবা। তোমাদের কাছ থেকে বলা যায় এক প্রকার জোর করে টাকাটা নিছি। কারণ, আমি কি করবো, আমার তো সংসার আছে।