পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু প্রতিরোধ বিষয়ে সেরা প্রতিবেদনের জন্য পুরষ্কার পেলেন গণমাধ্যমের ১৩ সাংবাদিক। সামাজিক সচেতনায় প্রিয় সন্তানদের এমন মৃত্যু প্রতিরোধ সম্ভব বলে মনে করেন আয়োজকরা।
রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র নজরুল হামিদ মিলনায়তনে গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের সহযোগিতায় গণমাধ্যম উন্নয়ন সংগঠন সমষ্টি এই আয়োজন করে।
সমষ্টির পরিচালক মীর মাসরুর জামানের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রধান অতিথি এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আআমস আরেফিন সিদ্দিক বিশেষ অতিথি ছিলেন।
সামাজিক সচেতনায় এমন প্রতিবেদনকে উৎসাহিত করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য। এ নিয়ে বাংলাদেশ বৈশ্বিকভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছে। পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর মতো ভয়াবহ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে গণমাধ্যম ও বেসরকারি সংগঠনসহ সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে সরকার আন্তরিক।’
এ সময় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ নিজেও তার শিশু বয়সে পানিতে পড়ার ভয়াল অভিজ্ঞতার কথা অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের সামনে বর্ণনা করেন।
অধ্যাপক ড. আআমস আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘গণমাধ্যমগুলো তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন পর্যায়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন উদ্যগের বিষয়গুলো তুলে ধরতে পারে। প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়াগুলো পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু প্রতিরোধ বিষয়ক গভীরতাধর্মী সংবাদ নিয়মিতভাবে প্রকাশ করতে পারে। আবার সম্প্রচার মাধ্যমগুলো এ সংক্রান্ত ডকুমেন্টারি ও টিভিসি প্রচার করতে পারে।’
অনুষ্ঠানে তিন ক্যাটাগরিতে--সংবাদপত্র, টেলিভিশন এবং অনলাইনের--১৩ সেরা প্রতিবেদনের জন্য পুরস্কার প্রদান করা হয়।
পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন আফরিন আপ্পি (দ্য বিজনেস পোস্ট), জিনিয়া কবির সূচনা (চ্যানেল ২৪), পার্থ শঙ্কর সাহা (প্রথম আলো), মাসুদ রানা (জাগোনিউজ), সোহাগী আকতার (সময় ট্রিবিউন), ঝর্ণা মনি (ভোরের কাগজ), কাউসার সোহেলী (মাছরাঙা টিভি), নীলিমা জাহান (ডেইলি স্টার), স্বপ্না চক্রবর্তী (জনকন্ঠ), জাহিদুর রহমান (সমকাল), সজীব আহমেদ (কালের কন্ঠ), আসিফ ইসলাম শাওন (দ্য বিজনেস পোস্ট) এবং আরেফীন তানজীব (চ্যানেল আই অনলাইন)।