ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা পাহাড়ে ‘বাঙালিদের হত্যা’র প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজুভাস্কর্যের পাদদেশে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বাঙালিদের নিরাপত্তা দাবিতে চার দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।
মানববন্ধনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিনহাজ তৌকি। লিখিত বক্তব্য তিনি জানান, গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির সদর উপজেলার পানখাইয়াপাড়ায় চুরির অভিযোগ এনে মো. মামুন নামে স্থানীয় এক বাঙ্গালি যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে ।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা যায় ৪-৫ উপজাতীয় নারী-পুরুষ চেপে ধরে হত্যা করছে মো. মামুনকে। কিন্তু পুলিশ এই ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ জানায় দীঘিনালা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা।
দীঘিনালা সরকারি কলেজ গেট থেকে শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল বের হয়ে বাজার প্রদক্ষিণ করে লারমা স্কয়ারে পৌঁছার পর পাহাড়ের আঞ্চলিক উপজাতীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এর কিছুক্ষণ পর পাশের বাঘাইছড়ি, লংগদু ও সাজেক এলাকা থেকে চাঁদের গাড়ি যোগে বহিরাগত শতশত উপজাতি যুবক এসে দীঘিনালার লারমা স্কয়ারে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মালিকানাধীন দোকানপাটসহ বাড়ি-ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
মিনহাজ তৌকি আরো বলেন, তারা শুধু এইবার নয় এর আগেও তারা নিরীহ বাঙালিদের ওপর হত্যাকাণ্ড চালায়। উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠি নতুন সরকারের কাছে যে দাবি জানিয়েছে আমরা ঘৃণার সাথে এ দাবি প্রত্যাখান করছি। তারা সেনাবাহিনীর ওপর আক্রমণ করার সাহস কীভাবে পায়।
এ সময় তিনি চার দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো-১. পাবর্ত্য চট্টগ্রামে অবস্থানরত স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। ২. পার্বত্য চট্টগ্রামে সব প্রকার অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। ৩. পার্বত্য চট্টগ্রামের নিরস্ত্র সাধারণ নাগরিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে সেনাবাহিনীকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে এবং নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকা জায়গাগুলোতে সেনা ক্যাম্প বাড়াতে হবে। ৪. পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির অসংবিধানিক ধারাগুলো বাতিল করতে হবে