পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন মুখের কথা নয়। কঠিন বিষয়ে গবেষণায় ঘাম ছুটে যায় গবেষকদের। বিরাটসংখ্যক গবেষণালব্ধ পত্র বা পেপার ছাপাই-বাঁধাই এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের কাছে পেশ করাও কম পরিশ্রমের ও অর্থ ব্যয়ের বিষয় নয়। কিন্তু দিন শেষে যদি দেখা যায় তা পড়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাস্টবিনে, গবেষকের জন্য তার চেয়ে দুঃখের কিছু হতে পারে না।
সম্প্রতি তেমন অভিযোগই উঠেছে কানাডার আলবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পেছনে একটি ডাস্টবিনে দেখা গেছে, অসংখ্য পিএইচডি থিসিস অবহেলায় পড়ে আছে। সেই ছবি ভাইরাল হয়েছে টুইটারে। ১৯ মে ক্যাফিনেটেড পিজিয়ান নামের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে ছবিটি পোস্ট করা হয়।
ছবিতে দেখা গেছে, একটি বড়সড় ডাস্টবিনের মধ্যে পড়ে রয়েছে অসংখ্য লাল রঙের মোটা মোটা বই। পিজিয়ানের দাবি, কানাডার এডমন্টন শহরে অবস্থিত আলবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনে একটি ডাস্টবিনের ছবি এটি। লাল রঙে বাঁধাই স্বাস্থ্যবান বইগুলো আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা পড়া থিসিস পেপার। যা তৈরি করতে কালো ঘাম ছুটে যায় গবেষক শিক্ষার্থীদের, সেগুলোই ওভাবে অবহেলায় ফেলে দেওয়া হয়েছে।
ছবির ক্যাপশনে ক্যাফিনেটেড পিজিয়ান লিখেছেন, ‘রাতে একটি লেকচার শেষে ফিরছিলাম। চোখে পড়ল আলবার্টা এডুকেশন সেন্টারের পেছনে একটি ডাস্টবিন। যা ভর্তি হয়ে আছে অসংখ্য থিসিস পেপারে। এই দৃশ্য আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার খারাপ অবস্থাকেই চিহ্নিত করে।’
এই পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বজ্ঞানহীনতায় ক্ষোভ জানিয়েছেন। এক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘থিসিস পেপার ছাপায় প্রচুর খরচ, এখনো মনে আছে। ক’দিন আগে আমার সুপাভাইজারের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, আমার পিএইচডি থিসিস পেপার খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সম্ভবত বিশ্ববিদ্যালয় হারিয়ে ফেলেছে। আমার কাছে অবশ্য পিডিএফ আছে।’ তবে এই অভিযোগ নিয়ে আলবার্টা বিশ্ববিদ্যালয় এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস