বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) আওতাধীন ক্যাডার ও নন–ক্যাডারসহ বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় সংস্থাটির দুজন উপপরিচালক ও সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সোমবার (৮ জুলাই) রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় গ্রেফতার হওয়া ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ আসামি করা হয়েছে অর্ধশতাধিককে।
পল্টন থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন মঙ্গলবার (৯ জুলাই) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গ্রেফতার ১৭ জনকে আজ আদালতে সোপর্দ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের রিমান্ড চাওয়া হবে।
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) আওতাধীন ক্যাডার ও নন-ক্যাডারসহ বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা আলোচনায় আসার পর দুজন উপপরিচালক ও গাড়ি চালক সৈয়দ আবেদ আলীসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতার করা হয়েছে—বিপিএসসির উপপরিচালক মো. আবু জাফর, মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির, অবসরপ্রাপ্ত ড্রাইভার সৈয়দ আবেদ আলী, অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলাম, ডেসপাস রাইডার খলিলুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান মো. নিয়ামুন হাসানকে।
এছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে নোমান সিদ্দিকী, সোলায়মান মো. সোহেল, প্রিয়নাথ রায়, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. মামুনুর রশীদ, সাখাওয়াত হোসেন, সায়েম হোসেন, লিটন সরকার ও সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামকে।
রোববার (৭ জুলাই) রাতে বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে পিএসসির ক্যাডার ও নন-ক্যাডারসহ বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ আনা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সর্বশেষ গত ৫ জুলাই (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত রেলওয়ের ৫১৬টি পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। একটি চক্র এক যুগের বেশি সময় ধরে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে আসছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বিসিএসসহ ৩০টি ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। এর সঙ্গে পিএসসির কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত।
এই ঘটনায় এরই মধ্যে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি)। কমিটিকে সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক কমিশনের যুগ্ম সচিব ড. আব্দুল আলীম খান। অন্য দুজন হলেন, কমিশনের পরিচালক দিলাওয়েজ দুরদানা ও মোহাম্মদ আজিজুল হক।