পিরোজপুরে কেন্দ্রীয় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় দুপক্ষের সংর্ঘষের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার সন্ধ্যায় পিরোজপুর টেলিভিশন জার্নালিষ্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী আসমা আরা মিতু লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নামে নিজেদের ব্যক্তিগত কাজ হাসিল করছে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিতর্কিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা হলেন উপেদেষ্টা পরিচয়ে মুসাব্বির মাহমুদ সানি, সমন্বয়ক পরিচয়ে শাহরিয়ার আমিন সাগর, রেজওয়ানুল ইসলাম। বিভিন্নভাবে নামে বেনামে চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তাদের নামে। তারা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা। আমরা বৈষম্যবিরোধী সাধারণ শিক্ষার্থী আজ থেকে তাদের বয়কট করলাম। তাদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পিরোজপুর জেলা শাখার কোনো সম্পর্ক নেই। আজ ছাত্রলীগের অনুপ্রবেশকারীরা যদি আমাদের এখানে না থাকত তাহলে আমাদের ৫ শিক্ষার্থী আহত হতো না।’
এ ব্যাপারে শাহরিয়ার আমিন সাগর বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। একটি কুচক্রী মহল অনুপ্রবেশ করে তাদের জন্যই আজকে এসব ঘটনা ঘটতেছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সকল শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা আগামীতে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করব।’
আহত শিক্ষার্থী রেদওয়ান ইসলামের মা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ছেলে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তাকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে মাহিম, কাজী সানি ও আসমা আক্তার মিতু। আমি এর বিচার চাই।’
উল্লেখ্য, গতকাল দুপুর আড়াইটায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শুরু হলে জেলার দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ৫ শিক্ষার্থী আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আহতরা হলো– বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী রেদওয়ান ইসলাম (২২), শিক্ষার্থী স্বাধীন (২০), শিক্ষার্থী মাশরাফিসহ (১৯) মোট ৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়।
পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতারা পিরোজপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী ও শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ, সানজানা আফিফা অদিতি, এস এ সাঈদ প্রমুখ।