কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের বত্রিশ এলাকায় অবৈধভাবে ভরাট করা একটি পুকুরের পাড়ে পুকুর ভরাট বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে পরিবেশ রক্ষা মঞ্চ (পরম) ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা।
গতকাল শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুই ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালিত হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ১৭০টি পুকুরের প্রায় সবগুলোই ভরাট হয়ে গেছে। বাকিগুলোও ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।এসব পুকুর ভরাটে পিছিয়ে নেই সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও। জেলা শহরের পুকুরগুলো উদ্ধার এবং খনন করে ব্যবহার উপযোগী করার দাবি জানানো হয় মানববন্ধনে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার (বাপা) সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জুয়েল বলেন, পুকুরগুলো ভরাট করে ফেলায় পরিবেশ হুমকির মুখে পড়ছে। শহরের কোথাও আগুন লাগলে পানি সংগ্রহ করে আগুন নেভানো যাবে না সহজে। তীব্র তাপদাহে পুকুরগুলো শহরবাসীর স্বস্তির ভরসাস্থল। দুঃখের বিষয় প্রশাসন নিজেই পুকুর ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করছে।
পরিবেশ রক্ষা মঞ্চের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ শরীফ আহমেদ সাদী বলেন, খুব ধীরে ধীরে জেলা শহরের পুকুরগুলো ভরাট করা হচ্ছে। পৌরসভা কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকল অধিদপ্তর এ বিষয়ে কেন নীরব তা বোধগম্য হচ্ছে না। আমরা পরিবেশে রক্ষা সংগঠনগুলো সেই শুরু থেকে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন এবং স্মারকলিপি দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু প্রশাসনের কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙছেই না। এ বিষয়ে আমরা বড় ধরনের আন্দোলন করবো, এমনটাই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছি।
এ সময় তিনি বেশ কিছু দিঘি ও নরসুন্দা নদী দখলমুক্ত ও খননের দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিলকিছ বেগম, মানবাধিকার নেত্রী অ্যাডভোকেট হামিদা বেগম,
ওয়েপের নির্বাহী পরিচালক মিজানুর রহমান রিপন, পরিবেশ কর্মী আব্দুল খালেক, আতাউর রহমান দিনার, সদস্য ওয়েপ, লুতফর রহমান, শিক্ষক, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম পৌর মহিলা কলেজের ছাত্রী নিপা আক্তার, প্রভাষক শহিদুল ইসলাম রুবেল, ইবনে আবদুল্লা শাহজাহান, তানভীর আহমেদ ও প্রদীপ কুমার বর্মণ এবং ওয়েপ পরিচালক মো.খায়রুল ইসলাম প্রমুখ।এছাড়াও উপস্হিত ছিলেন প্রভাষক রাজু আহমেদ, আবদুল্লাহ আল মামুন, ফজলুল করিম, বিলাল উদ্দিন আহমদ, রাইসুল ইসলাম রাসেল, খলিলুর রহমান, আমিনুল ইসলাম মনিরসহ সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা।