খুলনায় কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ কনস্টেবল সুমন ঘরামীকে হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। সংঘর্ষে পুলিশের আরও অন্তত ৩০ জন সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা হলেও এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
শুক্রবার (২ আগস্ট) রাতে লবণচরা থানার এস আই মোস্তফা সাকলাইন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
লবণচরা থানার ওসি মমতাজুল হক জানান, এ মামলায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার নেই। এ ছাড়াও আন্দোলন চলাকালে বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিকেলে ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে খুলনা সদর ও সোনাডাঙ্গা থানায় আলাদা দুটি মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
পুলিশ জানায়, ২ আগস্ট সন্ধ্যায় খুলনার মোহাম্মদনগর এলাকায় আন্দোলনকারীদের পিটুনিতে নিহত হন সুমন ঘরামী। তার বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলায়। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন নগরীর বয়রা এলাকায়। তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার সৌমেন বিশ্বাসের দেহরক্ষী ছিলেন।
বৃহস্পতিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ছাত্র-জনতার গণমিছিল কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ কনস্টেবল সুমনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন আন্দোলনকারীরা। তাকে উদ্ধার করে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, সুমন ঘরামীকে আন্দোলনকারীরা পিটিয়ে হত্যা করেছে। সংঘর্ষে পুলিশের আরও অন্তত ৩০ জন সদস্য আহত হয়েছেন।