পোকায় খেলো ভর্তির সময় জমা দেয়া শিক্ষার্থীদের মার্কশিট - দৈনিকশিক্ষা

পোকায় খেলো ভর্তির সময় জমা দেয়া শিক্ষার্থীদের মার্কশিট

দৈনিকশিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির সময় জমা দিতে হয় এইচএসসি, এসএসসির মূল মার্কশিট। সেগুলো সংরক্ষণের দায়িত্বে থাকে বিভাগগুলো। তবে তা সংরক্ষণে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগ। প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থীর মার্কশিট খেয়ে ফেলেছে পোকায়।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) নৃবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী তার মার্কশিট তুলতে গেলে বিষয়টি জানতে পারেন। শিক্ষার্থীরা বলছেন, আমাদের কাগজপত্রগুলো বিভাগের অফিসের ফ্লোরে পরে ছিল।

এজন্য সহজেই পোকা কেটে নিছে। ডিপার্টমেন্ট আমাদের লাইফের এত গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টসগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারেনি। এর দায়ভার বিভাগকেই নিতে হবে বলে দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা। 

বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগের শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) স্নাতকে ভর্তির সময় অনুষদ অফিসে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার আসল নম্বরপত্র (মার্কশিট) জমা দিতে হয়।

পরে সেখান থেকে নিজ নিজ বিভাগকে নম্বরপত্র সংরক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। অফিস কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থীর মার্কশিট পোকায় খেয়ে ফেলে। গতকাল এক শিক্ষার্থী তার নিজের নম্বরপত্র তুলতে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়।

এ বিষয়ে নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী ইত্তেহাদুল ইসলাম প্রণুত বলেন, ডকুমেন্টসগুলা পোকায় কেটেছে। এতে অফিস স্টাফদেরই গাফিলতি ছিল। তারা অজুহাত দিচ্ছে, তিন মাস ডিপার্টমেন্ট বন্ধ ছিল। তাই এমন অবস্থা হয়েছে। কিন্তু আমাদের কাগজপত্রগুলা বিভাগের অফিসের ফ্লোরে পরে ছিল।

এজন্য সহজেই পোকা কেটে নিছে। তারা এটা উঠিয়ে নিতে বলেছিল, আমাদের ৩-৪ মাস আগে। এখন তারা এটা বলারও চেষ্টা করতেছে যে, আমরা ডকুমেন্টস ফেরত নিতে বলেছি। আপনারা নেন নাই, এক্ষেত্রে আপনাদের দোষ। সোজা বাংলায় ভিক্টিম ব্লেইমিং করার ট্রাই করতেছে আমাদের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী বলেন, কোনো জবাবদিহিতা নাই। একের পর এক ঘটনা ঘটে গেছে। আওয়ামীপন্থী শিক্ষক লিটন হোসেন সরাসরি শিক্ষার্থীদের ওপর ক্ষমতা চর্চা করতেন। হুমকি-ধামকি দিতেন। জবি উপাচার্য সাদেকা হালিমের ক্ষমতা দেখাতেন সবক্ষেত্রে। এমনকি আন্দোলনের সময় তিনি সরাসরি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। কিন্তু ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান কাজী রবিউল আলম শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ আটকিয়ে ওনাকে বাঁচিয়ে দেন। কিন্তু ওই সময় আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ওপর প্রাতিষ্ঠানিক রেজাল্ট খারাপ করিয়ে দেওয়া, হুমকি দেওয়া থেকে শুরু করে সব করেছেন। কিন্তু শেষমেষ ডিপার্টমেন্ট প্রায় ২০-৩০ জন শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ধ্বংস করে ফেলল। এজন্যই কি আমরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলাম?

এবিষয়ে জানতে চাইলে নৃবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক কাজী রবিউল আলম বলেন, এ বিষয়ে জানার পর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। যাদের মার্কশিটের ফটোকপি নাই তাদের বিভাগ থেকে সহযোগিতা করার আশ্বাসও দিয়েছি। আর বিস্তারিত সিদ্ধান্তের জন্য কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে। কারণ একাডেমিক কমিটির মিটিং এ সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, ভর্তির কিছুদিন পর বিভাগে কাগজপত্রগুলো আসলে শিক্ষার্থীদের জানানো হয়, যেন তারা সেগুলো তুলে নেয়। অনেকে তুলে নিলেও কিছু কাগজ থেকে যায়। এদিকে শিক্ষার্থীদেরও গাফিলতি আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

৫৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩টিই শেখ পরিবারের নামে - dainik shiksha ৫৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩টিই শেখ পরিবারের নামে ছাত্ররাজনীতি নিয়ে যে সিদ্ধান্ত জানালো বুয়েট - dainik shiksha ছাত্ররাজনীতি নিয়ে যে সিদ্ধান্ত জানালো বুয়েট ছাত্র কেনো প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে! - dainik shiksha ছাত্র কেনো প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে! শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা নেই, তবুও তিনি উপাচার্য - dainik shiksha শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা নেই, তবুও তিনি উপাচার্য পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটি বাতিল - dainik shiksha পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটি বাতিল পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সচিব পদে আবারো ভাবী! - dainik shiksha পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সচিব পদে আবারো ভাবী! দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0039029121398926