পোষ্য কোটা বাতিলসহ তিন দফা দাবি জানিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীবের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের অন্য দুটি দাবি হলো- মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনি কোটা বাতিল করতে হবে; সন্তান কোটা থাকলেও তা সর্বোচ্চ ১ শতাংশ করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি কমাতে হবে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতি। এই কোটা বৈষম্যের প্রতিবাদেই জুলাই বিপ্লবের ইতিহাস রচিত হয়েছে। তাই তারা স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীন ক্যাম্পাসে আর কোনো প্রকার অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতি দেখতে চান না।
এতে আরো বলা হয়েছে- বিগত ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ৫৩৪ জন, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ৫৩৭ জন এবং ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ৬২১ জন শিক্ষার্থী কোটার মাধ্যমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন। যার একটি বড় অংশ অযৌক্তিক পোষ্য কোটা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনি কোটা। তাই তারা এই দুটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক কোটা অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানান।
এর পাশাপাশি গত কয়েক বছর ধরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। এই ফি কমানোও এখন সময়ের দাবি। তারা আশাবাদী, ছাত্রবান্ধব রাবি প্রশাসন এই যৌক্তিক দাবিগুলো ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে কার্যকর করবেন।
এর আগে, গত ২০২৩-২৪ সেশনে প্রথমবর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট আসনের ১৪ শতাংশ কোটায় ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
এর মধ্যে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ছিলেন ৬১, শারীরিক প্রতিবন্ধী ১২২, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নাতি-নাতনি ১৯৫ ও পোষ্য কোটায় (বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক কর্মকর্তার পুত্র/কন্যা) ১৫৬ জন।