কোস্টারিকার মতো দলের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে গোলশূন্য ড্র। এতে বেশ সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল লাতিন আমেরিকার অন্যতম শক্তিশালী দল ব্রাজিলকে। কিন্তু এক ম্যাচ পরই সেই সমালোচনাকে তুড়ি মেরে দাপুটে এক জয় তুলে কোয়ার্টার ফাইনালের দৌড়ে টিকে রইল ৯ বারের চ্যাম্পিয়নরা।
আজ শনিবার (২৯ জুন) লাস ভেগাসের এলিগেন্ট স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ প্যারাগুয়েকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ব্রাজিল। সেলেসাওদের হয়ে জোড়া গোল করেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। আর একটি করে গোল করেন স্যাভিও ও পাকেতা।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেললেও গোল পেতে দেরি হচ্ছিল ব্রাজিলের। একের পর এক আক্রমণের পর ম্যাচের ৩১তম মিনিটে গোলের দারুণ সুযোগ পেয়ে যায় ব্রাজিল। প্যারাগুয়ের আন্দ্রিয়ের কোবাসের হ্যান্ডবল হলে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। কিন্তু গোল করার সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি লুকাস পাকেতা। গোলবারের বাঁ পাশ দিয়ে বল বাইরে মেরে দেন তিনি।
অবশ্য সেই পেনাল্টি মিসের হতাশা বেশিক্ষণ ছিল না ব্রাজিলের। চার মিনিট পরই সমর্থকদের উচ্ছ্বাসে ভাসান তারকা ফুটবলার ভিনিসিয়াস জুনিয়র। পাকেতার অ্যাসিস্টে বাঁ পায়ের দুর্দান্ত শটে গোল করে বসেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা।
এরপর ম্যাচের ৪৩তম মিনিটে আরও একটি গোল পায় সেলেসাওরা। ডি-বক্সের কাছ থেকে বাঁ পায়ের শটে বল জালে জড়ানোর চেষ্টা করেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা রদ্রিগো। হতাশ হতে হয় তাকে। তবে ফিরতি শটে দলকে এগিয়ে নেন তরুণ স্ট্রাইকার স্যাভিও। তার গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। তবে এখানেই থামেনি সেলেসাওরা। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ভিনিসিয়াস। এতে ব্যবধান দাঁড়ায় ৩-০। এই ব্যবধান নিয়েই বিরতিতে যায় ব্রাজিল।
প্রথমার্ধের হতাশা ভুলে দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে প্যারাগুয়ে। ম্যাচের ৪৮তম মিনিটে আলডেরেটের গোলে ব্যবধান কমায় দলটি। এরপর ব্যবধান আরও বাড়াতে মরিয়া হয়ে ওঠে ব্রাজিলও। যার ফল পেতে খুব বেশি সময় লাগেনি। ম্যাচের ৬৫তম মিনিটে আরও একটি পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। এবার আর ভুল করেননি পাকেতা। বল জালে জড়িয়ে ৪-১ ব্যবধানে এগিয়ে নেন দলকে।
বাকি সময়ে আরও বেশ কিছু আক্রমণ করলেও ব্যবধান আর বাড়াতে পারেনি ব্রাজিল। শেষমেষ ৪-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে দরিভাল জুনিয়রের শিষ্যরা। এই জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে দৌড়ে বেশ ভালোভাবেই টিকে রইল সেলেসাওরা।