সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে মহাসমাবেশ করছেন শিক্ষার্থীরা। সমাবেশের একপর্যায়ে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী চাকরিপ্রার্থীরা।
প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ না ছাড়ার ঘোষণা আন্দোলনকারীদের। এতে শাহবাগ এলাকায় যানচলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে শাহবাগ মোড় ঘিরে থাকা সব সড়কে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা সকাল থেকে ‘৩৫ প্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থী’ ব্যানারে সমাবেশ হয়। সমাবেশে আন্দোলনকারীরা ‘বয়স না মেধা-মেধা মেধা’, ‘আর নয় কালক্ষেপণ-এবার দাও প্রজ্ঞাপন’, ’৩৫-এর শৃঙ্খল-ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি নানা স্লোগান দিতে থাকেন।
কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করতে যোগ দিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। সমাবেশে বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কতো অনিয়ম চালু আছে, সে কথা বলতে গেলে একটা ডিকশনারির মতো হয়ে যাবে। কতো যে অস্থায়ী নিয়োগ আছে, যখন তখন একজনকে কান ধরে বের করে দেওয়া যায়, এমন নিয়মেরও হিসাব নেই। এসবের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার সুযোগ পর্যন্ত নেই।’
আন্দোলনকারীরা বলছেন, বাংলাদেশের সব পর্যায়ে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আজ থেকে ৩৩ বছর আগে ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে ২৭ বছর থেকে ৩০ বছরে উন্নীত করা হয়। যখন বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ছিলো ৫৭ বছর।
বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়ে ৭৩ বছরে এসে দাঁড়িয়েছে। এ কারণে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা যৌক্তিক। গড় আয়ু বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি করে ৫৭ থেকে ৫৯ বছর করা হয়। কিন্তু চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি না করে সেটি ৩০ বছরেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়, যার কারণে দেশে উচ্চশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।