দৈনিক শিক্ষাডটকম, মাগুরা: বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার গোয়ালদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রভাষ রঞ্জন দেবজ্যোতি।
গত রোববার দুপুরে শ্রীপুর প্রেসক্লাবে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তার অক্লান্ত পরিশ্রম ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের দিয়ে গঠিত ফুটবল দল ২০১৪ থেকে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে খুলনা বিভাগীয় রানার্স আপ ও ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে পরপর চারবার বিভাগীয় চাম্পিয়ন হয়ে জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে।
বর্তমানে তার বিদ্যালয়ের ২১ জন খেলোয়াড় বিকেএসপিতে খেলছেন, তার মধ্যে ১২ জন খেলোয়াড় জাতীয় মহিলা দল রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে তার বিদ্যালয়ের খেলোয়াড়রা সাফ গেমসসহ বিভিন্ন দলে খেলে সুনাম অর্জন করেছে। এছাড়া তিনি কয়েকবার উপজেলা ও জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। তার সফলতায় মুগ্ধ হয়ে চৌগাছী গ্রামের পরিমল মণ্ডল তার মেঝো মেয়েকে তার সঙ্গে বিয়ে দেয়ার প্রস্তাব দেয়। মেঝো মেয়ের অন্যত্র বিয়ে হয়ে যাওয়ার তিন বছর পর পুনরায় ছোট মেয়ের সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এই বিয়ের প্রস্তাবের সূত্র ধরে একপর্যায়ে ছোট মেয়ের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। তার এই অভাবনীয় সফলতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে গ্রামের কতিপয় ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় পরিমলকে তারা ভয়ভীতি দেখিয়ে পক্ষে নেয়। পরিমল নানাভাবে ছলনা করে জমি বন্ধক রাখাসহ স্ত্রী ও মেয়েদের বিভিন্ন প্রয়োজন দেখিয়ে আনুমানিক ৫ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। ওই টাকা ফেরত চাইলে তিনি নানা টালবাহানা করেন এবং ভীষণভাবে ক্ষিপ্ত হন। উপরন্ত টাকা ফেরত না দেয়ার সুযোগ নিতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে পাশের বাড়ির একজনকে দিয়ে ফোন করে ডেকে নিয়ে পরিমল ও তার ভাই অতুল মণ্ডল, পরিমলের তিন মেয়েকে দিয়ে তাকে বাড়ির পাশের ব্রিজের উপর শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এরপর থেকে তার সাথে ওই পরিবারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কয়েকদিন আগে গ্রামের একটি অনুষ্ঠানে পরিমলের এক আত্মীয়ার সঙ্গে কথা বলায় ক্ষিপ্ত হয়ে তার গেঞ্জির কলার চেপে শ্বসরুদ্ধ করে কিল-ঘুষিসহ ও তলপেটে লাথি মারে। এতে তিনি অন্ডকোষে প্রচণ্ড আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। পুরো বিষয়টি চৌগাছী গ্রামের বাসিন্দা ও দ্বারিয়াপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী মহিদুল আলম মীমাংসার দায়িত্ব নেন। এ ঘটনাকে পুঁজি চৌগাছী গ্রামের একটি স্বার্থান্বেষী মহল পরিমলের মেয়েকে ব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে ফেসবুকসহ সামাজিক গণমাধ্যমে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য সরবরাহ করে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এতে তার সুনাম ও সুখ্যাতি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তিনি বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।