দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে। কুরবানির কয়েকদিন আগে কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও এখন আর তা নেই। সাধারণ মানুষের ক্রয় সীমার বাইরে চলে গেছে এই পণ্যটি।
![](https://dainikshiksha.com/public/uploads/2023/06/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%9A%E0%A6%BE%20%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%9A.jpg)
কাঁচা মরিচের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ার পর তা আমদানির অনুমতি দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইং। কিন্তু আদতে কোনো লাভ হয়নি।
ভারত থেকে কাঁচা মরিচ ২১ টাকা কেজি দরে দেশে আমদানি করলেও দাম কামানোর কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এক সপ্তাহ আগে কাঁচা মরিচের দাম ২৫০ টাকা থাকলেও এখন এর কেজি ৪৮০ থেকে ৬০০ টাকা। ভারত থেকে ৪৪টি প্রতিষ্ঠানকে কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গত ২৬ জুন মরিচ আমদানি করা হয়েছে ৩৮ হাজার ৬৭১ কেজি। তাও আমদানি করেছে মাত্র তিনটি প্রতিষ্ঠান।
ভারত থেকে যে তিনটি প্রতিষ্ঠান কাঁচা মরিচ আমদানি করেছে তার প্রতি কেজির খরচ পড়েছে ১৯ সেন্ট বা ২১ টাকা। চাঁপাইনবাবগঞ্জের আলফাজউদ্দিন অ্যান্ড সন্স প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ আমদানি করেছে ২৪ সেন্ট বা ২৬ টাকা কেজি দরে। দিনাজপুরের হাকিমপুরের সততা বাণিজ্যালয়ের খরচ পড়েছে ২০ সেন্ট বা ২২ টাকা এবং বগুড়ার বি কে ট্রেডার্সের প্রতি কেজির খরচ পড়েছে ১৫ সেন্ট বা ১৬ টাকা।
আমদানি খরচের সঙ্গে কাস্টমস শুল্ক ও কর যোগ করলে প্রতি কেজির দাম দাঁড়ায় ৫৩ টাকা। দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তর পরিবহন খরচ প্রতি কেজি ১০ টাকা ধরলে তা হয় ৬৩ টাকা। তিনটি হাত ঘুরে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা করে মুনাফা ধরলে আরও যোগ হয় ৩০ টাকা। মুনাফা আরও ৭ টাকা বাড়িয়ে ধরলেও কেজিতে তা ১০০ টাকার বেশি হয় না।
গতকাল বগুড়ায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি নতুন রোটারি বর্ষ উপলক্ষে বিভাগীয় শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি ছিলেন। এ সময় কাঁচা মরিচের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন। কিন্তু তিন এ ব্যাপারে কোনো উত্তর না দিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের কথা বলেন।