নওগাঁর মান্দা শ্যামচাঁদ মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত না থেকেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানের ট্রেড ইন্সট্রাক্টর শাহাজাহান আলী বাদী হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মান্দা শ্যামচাঁদ মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক গত ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে অবসর গ্রহণ করেন। তারপর গভর্নিংবডির সভাপতি অনুপ কুমার কুন্ডুকে সভাপতির পদ থেকে অপসারণ করা ও হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশে সাবেক মন্ত্রী মোহা. ইমাজ উদ্দিনের কাছ থেকে মান্দা থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক গৌতম কুমার মহন্ত ডি.ও. লেটারের মাধ্যমে সভাপতির দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর সভাপতি গৌতম কুমার মহন্ত গত ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ৩ জানুয়ারি আকস্মিক বিদ্যালয় শাখার ২ জন জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে উপেক্ষা করে ফের সভাপতি পদে বসার জন্য সহকারী শিক্ষক মো. আতিকুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার দেন।
এরমধ্যে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে মান্দা থানায় গত ৭ অক্টোবর মামলা থাকায় তিনি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। গত ৮ অক্টোবর ছুটির নোটিশে তার স্বাক্ষর ছিলো না। তিনি গত ২০ অক্টোবর তিনি বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থেকেও হাজিরা খাতায় কে স্বাক্ষর করেছেন তা আমরা জানিনা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আতিকুর রহমান বলেন, গভনিংবডির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমাকে এই পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগের পর থেকে সুনামের সঙ্গে বিদ্যালয় পরিচালনা করে আসতেছি। অভিযোগকারী হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এরূপ ভিত্তিহীন অভিযোগ দাখিল করেছে। এর কোনো সত্যতা নেই। বর্তমানে আমার বিদ্যালয়ের পরিচালনা জন্য রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অ্যাডহক কমিটি চলমান রয়েছে। গভর্নিংবডিতে নিরবচ্ছিন্নভাবে গৌতম কুমার মহন্ত দায়িত্ব পালন করেনি।
এই তথ্যটিও মিথ্যা বানোয়াট অধ্যক্ষ প্রধান শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত মহাদয়ের বিরুদ্ধে যে অনিয়ম দুর্নীতির কথা বলা হয়েছে সেটাও ভিত্তিহীন। সেটা প্রজেক্ট কমিটি অর্থাৎ শিক্ষকদের যুক্ত করেই সম্পন্ন করা হয়েছে। আর সেদিন ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে প্রতিষ্ঠানে কেউ উপস্থিত হওয়ার আগে আমি গিয়ে স্বাক্ষর করে চলে আসি।
আপনার স্বাক্ষরের সঙ্গে ওই দিনের স্বাক্ষর কোনো মিল নেই এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি নিজেই স্বাক্ষর করেছি তবে টেনশনে থাকার কারণে স্বাক্ষর একটু গরমিল হতে পারে।
মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা আরজুমান বানু বলেন, অভিযোগের কপিটি আমি এখনো হাতে পাইনি। হাতে পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।