দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক: গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে আজ শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ইতোমধ্যে তুরাগ তীরে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসতে শুরু করেছেন মুসল্লিরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাদ ফজর থেকে শুরু হয়েছে আঞ্চলিক বয়ান। তবে শুক্রবার ফজর নামাজের পর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে ইজতেমা। গতকাল জোহর নামাজের পর বয়ান করেন মাওলানা রবিউল হক। এ ছাড়া আছরের পর বয়ান করবেন মাওলানা ফারুক ও মাগরিবের পর মাওলানা ইব্রাহীম।
প্রথম পর্বের ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়কারী জহির ইবনে মুসলিম জানান, শুক্রবার ফজর নামাজের পর বয়ান করবেন- মাওলানা আহম্মেদ বাটলার, সকাল ১০টায় তালিম করবেন মাওলানা জিয়াউল হক, জুমার নামাজ পড়াবেন মাওলানা যোবায়ের। জুমার নামাজের পর বয়ান করবেন জর্ডানের খতিব ওমর, আছরের পর মাওলানা যোবায়ের ও মাগরিবের পর মাওলানা আহম্মেদ লাট বয়ান করবেন। আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত এভাবেই প্রতিদিন পর্যায়ক্রমে শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বিরা বয়ান করবেন।
ইজতেমার বিদেশি খিত্তায় দায়িত্বরত একজন সরকারি কর্মকর্তা জানান, তাবলিগ জামাত আয়োজিত বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহৎ এ আয়োজনে সকাল ১১টা পর্যন্ত ৩৬ দেশের ৭৫৯ জন বিদেশি অতিথি উপস্থিত হয়েছেন। ৩৬টি দেশের মধ্যে রয়েছে- ভারত পাকিস্তান, কুয়েত, সৌদি আরব, আফগানিস্তান, জাপান, ওমান, কানাডা, মোজাম্বিক, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, কিরগিস্তান, সিঙ্গাপুর, ইতালি, জর্ডান ও যুক্তরাজ্য।
জানা যায়, বিশ্ব ইজতেমায় বিদেশিদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ইজতেমা প্রশাসন। বিদেশিদের খিত্তাকে ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। বিদেশি খিত্তার পাশে পুলিশ-র্যাবসহ সব বাহিনীর উপ-নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। বিশ্ব ইজতেমায় বিদেশিদের থাকা, খাওয়া ও ভ্রমণের ওপর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
ইজতেমা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সরকারের পাশাপাশি বিশ্ব ইজতেমার আয়েজকদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় রয়েছে ১০টি জামায়াত। এসব জামাত ইজতেমা ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছে।
উল্লেখ্য, ২ ফেব্রুয়ারি বাদ ফজর আমবয়ানের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। পরে ৪ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এ পর্ব। পরবর্তী চারদিনের বিরতির পর ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব।