প্রাতিষ্ঠানিক সঙ্কট নিয়ে ক্ষোভের জেরে সহকারী শিক্ষকদের মারধরে প্রধান শিক্ষক কামরুল আহসান সোহেল (৫২) আহত হয়েছেন। এছাড়া তাকে বাঁচাতে এসে ছেলে সিনহা (২২) ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৩০) আহত হন।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুরে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের জুনদহ উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশ ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
স্থানীয়রা জানান, নতুন চারতলা ভবন নির্মাণের উদ্দেশে গত বছরের নভেম্বর মাসে স্কুলের পুরাতন টিনসেড ওয়ালআপ ভবন ভেঙে ফেলা হয়। কিন্তু জমির সীমানা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হলে প্রতিবেশী জমির মালিকের অভিযোগে সেখানে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনও সম্ভব হয়নি। বর্তমানে টিনের ছাপড়া ঘর তৈরি করে প্রখর রোদের মধ্যেই পাঠদান চলছে। সম্প্রতি পাশের জমি মালিকও স্কুলের টয়লেটে যাতায়াতের রাস্তাটি বাঁশের বেঁড়া দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন। এসব কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির শেষ নেই। এ নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরর মধ্যে চাপাক্ষোভ তৈরি হয়।
এসব সমস্যা সমাধানে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সহকারী শিক্ষক মুক্তার, রিজেন, কাওছার মোখছার, নাঈমসহ অন্যান্যদের সঙ্গে প্রধান শিক্ষকের বাকবিতণ্ডা বাধে। এর এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক সোহেল ধাক্কা-মারধরের শিকার হন। খবর পেয়ে তার স্বজনরা তাকে বাচাতে এলে ছেলে সিনহা ও ছোট ভাইয়েরর স্ত্রী ফাতেমা আহত হন।
প্রধান শিক্ষক সোহেল বলেন, আমি একজন পক্ষাঘাতগ্রস্ত মানুষ। সহকারী শিক্ষকরা একজোট হয়ে আমাকে আঘাত করেছে।
এদিকে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষকরা তাদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, প্রধান শিক্ষকের পরিবারের সদস্যরাই বিদ্যালয়ে এসে তাদের ওপর হামলা চালান। আর প্রধান শিক্ষক রেগে গিয়ে টেবিলে থাপড়ালে কাঁচ ভেঙে তার হাত কেটে যায়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহাতাব হোসেন জানান, উভয়পক্ষ একে-অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিচ্ছে। এ ব্যপারে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বলেন, এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।