দৈনিক শিক্ষাডটকম, মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় এক শিক্ষকের বাড়ির শোবার ঘর থেকে একটি বিষধর শঙ্খিনী সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার ইছবপুর এলাকা থেকে বাংলাদেশ বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের লোকজন এসে সাপটি উদ্ধার করেন।
ওই শিক্ষকের নাম কল্যাণ দেব। তিনি স্থানীয় ভাড়াউড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
কল্যাণ দেব বলেন, গতকাল রাতে হঠাৎ তাঁর স্ত্রী ঘরের ভেতর সাপটি দেখতে পান। সাপটি দেখার পর বিষয়টি বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেবকে জানান। পরে তিনি ও তাঁর সহকারীরা এসে সাপটি উদ্ধার করে নিয়ে যান।
এদিকে রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার উত্তর ভাড়াউড়া এলাকা থেকে একটি অজগর সাপ উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন। অজগরটি বন ছেড়ে লোকালয়ে চলে এলে এলাকার লোকজন সেবা ফাউন্ডেশনকে খবর দেন। পরে সেবা ফাউন্ডেশনের লোকজন গিয়ে অজগরটি উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে সজল দেব বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শঙ্খিনী সাপটি তাঁরা উদ্ধার করেন। শঙ্খিনী সাপ বিষধর ও নিশাচর। এরা ইঁদুরের গর্ত, ইটের স্তূপ ও উইয়ের ঢিবিতে থাকতে পছন্দ করে। শঙ্খিনী সাপটি উদ্ধার করে ও রাতে লোকালয় থেকে অপর একটি অজগর সাপ উদ্ধার করে তাঁদের কাছে রেখে দিয়েছেন। বন বিভাগকে জানানো হয়েছে। বন বিভাগের লোকজন এসে শিগগিরই সাপ দুটিকে বনে অবমুক্ত করবেন।
সজল দেব জানান, শঙ্খিনী সাপের দৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ ৬ ফুট ১১ ইঞ্চি হতে পারে। গায়ে কালোর মধ্যে হলুদ ডোরাকাটার কারণে সহজেই সাপটি চেনা যায়। সাধারণত মানুষ দেখলে সাপটি পালানোর চেষ্টা করে। মাথা ঝোপ বা মাটির মধ্যে লুকিয়ে রাখে। তখন সাপটির ভোঁতা লেজটিকে অনেকে মাথা ভেবে ভুল করেন। এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে ৪ থেকে ১৪টি ডিম দেয় স্ত্রী সাপ। ডিম ফুটে বাচ্চা বের হতে প্রায় ৬১ দিন সময় লাগে। শঙ্খিনী সাপ যে এলাকায় থাকে, সেখানে অন্য জাতের সাপ সাধারণত থাকে না। কারণ, অন্য প্রজাতির সাপ শঙ্খিনীর প্রিয় খাবার।