নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খালেদা ইয়াসমিন মিনুর বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের কর্মকাণ্ডে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ১২টি অভিযোগ এনে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর গত ৮ জানুয়ারি লিখিত অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়ের সভাপতি ও রাজগঞ্জ ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন।
অভিযোগকারী মো. জসিম উদ্দিন বলেন, রাজগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খালেদা ইয়াসমিন মিনু প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও বিদ্যালয়ের সরকারি টাকা আত্মসাৎ করে আসছেন। তিনি সরকারের জাতীয় দিবসগুলোতে কোনো কর্মসূচি পালন করেন না। রেজুলেশন জালিয়াতি ও সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে বিদ্যালয়ের অর্থ লুটে নেন। এমনকি বিদ্যালয়ের সভাপতি হিসেবে আমার অনুমিত না নিয়ে সভা ডাকেন এবং আমার স্বাক্ষর জাল করে অন্য ব্যক্তিকে সভাপতি দেখিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করেছেন। এছাড়া বিদ্যালয়ের উন্নয়ন না করে সরকারি টাকা আত্মসাৎ, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশোভন আচরণসহ ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও সরকারি টাকা আত্মসাৎ করে আসছেন। তার এসব অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে প্রধান শিক্ষক আমার এবং বিদ্যালয়ের অন্যান্য সদস্য ও অভিভাবকদের সঙ্গেও অশোভন আচরণ করেন।
এদিকে স্থানীয়রা বলেন, রাজগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওই বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে এসব অনিয়ম, দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে এর আগেও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। কিন্তু অদৃশ্য কারণে তিনি বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
অভিযুক্ত রাজগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খালেদা ইয়াসমিন মিনু তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে জানান, আমি বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে সার্বক্ষণিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এতে প্রতিহিংসাবশত একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক এসব মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
বেগমগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল হান্নান অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা অভিযোগটি পাওয়ার পর অন্য ক্লাস্টারের সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার হাসিনা আক্তারকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।