দৈনিক শিক্ষাডটকম, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) : সরকারি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক বরাদ্দের অর্থ কাজ না করে আত্মসাত, সভাপতির স্বাক্ষর জাল করা, শিক্ষার্থী-অভিভাবক ও সহকারী শিক্ষকদের সাথে দুর্ব্যবহার, পাঠদানে অনীহা, প্রতিষ্ঠাতার নাম পরিবর্তন ও বিদ্যালয় অন্যত্র সরি নেয়ার পাঁয়তারাসহ নানা অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) শামছুল আলমের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের কারণে বিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষার্থী সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ঘটনাটি কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর সিএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
জানা গেছে, রৌমারী উপজেলার ধনারচর সিএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) শামছুল আলম প্রতিষ্ঠাতা সহকারী শিক্ষক। পরে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে, সরকারি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক বরাদ্দের স্লিপ, রুটিন মেইনটেন্স, ক্ষুদ্র মেরামতের অর্থ কাজ না করেই আত্মসাত করেন প্রধান শিক্ষক শামছুল আলম। তিনি বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি হোসনে আরার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করেও আত্মসাত করেন। পাশাপাশি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক সপ্তাহে তিনদিন উপস্থিত হন। কিন্তু উপস্থিতি না হয়েও হাজিরা খাতায় অগ্রিম স্বাক্ষর করেন।
বিদ্যালয়ের সভাপতি হোসনে আরা অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক আমার স্বাক্ষর জাল করে বিভিন্ন সময়ে সরকারি বরাদ্দের অর্থ ব্যাংক থেকে টাকা তুলে কাজ না করে আত্মসাত করেন। এর প্রতিবাদ করলে আমাকে হুমকিসহ সভাপতি পদ বাতিল করবেন বলে জানান। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানালেও রহস্যজনক কারণে ব্যবস্থা নেন না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামছুল আলম অভিযোগের সত্যতা অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে নানা সময়ে আমার সহকারী শিক্ষকরা এবং কিছু শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও সভাপতি মিথ্যা রটাচ্ছেন। আমার ব্যক্তিগত কারণে শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে না। নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ায় শিক্ষার্থী কমছে। কারণ শিক্ষার্থীদের বাড়ি দূরবর্তী হওয়ায় উপস্থিতিতে কমছে। আর বরাদ্দের টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করিনি বরং সঠিকভাবে কাজ করেছি। কারোর স্বাক্ষর জাল করেনি।
এ প্রসঙ্গে রৌমারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ জানান, বিদ্যালয়ে সরেজিমন গিয়েছিলাম। সমস্যাগুলোর কথা শুনেছি। এখন দেখেশুনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।