সোনাগাজী উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের আর এম হাট কে উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির পরিচালনা পর্ষদের প্রাক্তন সদস্য খায়রুল ইসলাম শিফন কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। অভিযোগ আমলে নিয়ে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান সরজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে চিঠি দিয়েছেন।
লিখিত আবেদনে জানা যায়, গত বছরে পরিচালনা পর্ষদ গঠনে প্রার্থীদের জামানতের অর্থ বিদ্যালয়ের ফান্ডে জমা দেয়নি প্রধান শিক্ষক। টাকা জমা না দিয়ে তিনি নিজেই চার প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। সেই চার জনকে নির্বাচিত করার জন্য প্রার্থী মাস্টার রফিক উল্যাহ ও রহিম উল্যাহর বাড়িতে গিয়ে রাতের আঁধারে ভয়ভীতি দেখায় এবং মনোনয়ন ফরম জমা দিতে ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে বাধা প্রদান করেন। অপর দুই প্রার্থী কামরুন নাহার ও তাহমিনা আক্তারের বাড়িতে গিয়ে জোরপূর্বক মনোনয়ন ফরম কেড়ে নেয়। কাউকে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ না দিয়ে আজ্ঞাবহ কমিটি গঠন করেন। কমিটি গঠনের পর উপ-কমিটি ও অভ্যন্তরীণ অডিট কমিটি তিন মাসের মধ্যে গঠন করার বিধান থাকলেও তিনি ১৩ মাস পার হলেও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। গত বছরে নিয়োগ পরীক্ষায় কম্পিউটার ল্যাব সহকারী পদে মো. তহিদুল ইসলাম, পরিচ্ছন্নতা কর্মী দিলীপ দাস ও অফিস সহকারী পদে নজরুল ইসলামকে বিপুল টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেয়া হয়।
পরীক্ষার আগের দিন এই তিন জন টাকার বিনিময়ে নিয়োগ পাচ্ছে বলে ফেসবুকে ভাইরাল হয়। বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়। এ ছাড়াও বিদ্যালয়ের ফরম বিক্রির টাকা, রেজিস্ট্রেশন বাবদ গৃহীত টাকা ও প্রশংসাপত্র বাবদ গৃহীত টাকার কোনো রসিদ না দিয়ে সেই টাকা আত্মসাৎ করেন।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, আমার নিজের চাকরির সময়ে আমাকেও কয়েক দফায় টাকা দিতে হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে তা সত্য নয়। পরিচালনা পর্ষদের সুনাম ক্ষুণ্ন করতে একটি চক্র ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের নির্দেশনা পেয়েছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।