প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করলে প্রয়োজনে পদত্যাগের কথা ভাববেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। শনিবার রাতে রাজধানীর সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। এসময় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ঘরে ফিরে যাওয়ার আহ্বানও জানান মন্ত্রী।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়েছি। এখন সময় এসেছে ছাত্রদের আন্দোলন শেষ করে স্ব স্ব ক্ষেত্রে চলে যাওয়ার। এরপরও তাদের যদি কিছু বলার থাকে, প্রধানমন্ত্রীর দরজা খোলা আছে।’
বিএনপি–জামায়াতের মতো রাজনৈতিক শক্তির প্ররোচনায় আন্দোলনকারীরা পদত্যাগের এক দফা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন আসাদুজ্জামান খান কামাল। মন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা এখন কোটা আন্দোলনে নেই। রাজনৈতিক আন্দোলনে চলে গেছে। ছাত্রদের মিসগাইড করে অন্যরা এ কর্মসূচি দিয়েছে।’
কারফিউ প্রসঙ্গে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারফিউ চলমান থাকবে। ঢাকা, গাজীপুর, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জে সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে।’
শনিবার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কোথাও কোথাও যুবলীগ–ছাত্রলীগকে অস্ত্রসহ দেখা গেছে জানালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'তারা বাধা দিতে গেছে, গুলি করতে নয়।'
ইউনিসেফের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ৩২ শিশুর মৃত্যুর তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইনে ১৮ বছরের নিচে সবাই শিশু। আমাদের দৃষ্টিতে কোনো শিশু মারা যায়নি, যারা নিহত হয়েছে তারা কিশোর বয়সী।'
রোববার সারা দেশের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সঙ্গঠনের নেতাকর্মীদের অবস্থানের কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘শোকের মাস আগস্ট চলছে। এটি বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের শোকাবহ মাস। একুশে আগস্ট আওয়ামী লীগেরে সমাবেশে গ্রেনেড হামলার মাস। আমরা বরাবরই শোকের মাস পালন করে থাকি। বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বরণের পর থেকেই এটা চলছে। আগস্ট মাসব্যাপী আলোচনা–তবারক বিতরণ নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।’